দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৃষ্টির দিনেই হোক কিংবা খুব দরকারে দ্রুত কাপড় শুকানো বিষয়ই হোক এই মেশিন মাত্র কয়েক মিনিটেই জুতা-কাপড় শুকাবে!
মেশিন মানেই অনেকটাই ঝামেলাযুক্ত কাজ। তবে যাদের বাড়িতে ওয়াশিং মেশিন রয়েছে, তারা ড্রায়ারে শুকিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই। তবে যাদের বাড়িতে এটি নেই, তারাই পড়ে যান সমস্যায়।বাইরে বা পাহাড়ে ঘুরতে গেলে তো আরও সমস্যা। কোনোভাবেই যেনো জামা কাপড় শুকাতে চায় না। তাই কয়েক মিনিটের মধ্যে জামা কাপড় শুকানো সম্ভব, এমন কয়েকটি পোর্টেবল ক্লথ (কাপড়) মিনি ড্রায়ারের খোঁজ পাওয়া গেছে। আজ জেনে নিন এইসব মিনি ড্রায়ারের নাম।
ইলেকট্রিক পোর্টেবল ক্লথ ড্রায়ার AVIRA
এই AVIRA ড্রায়ারগুলো খুব বেশি বড় হয় না। এমনকি আপনি এগুলোকে ব্যাগে ভরে সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কয়েক মিনিটের মধ্যে জামাকাপড়, জুতা, বিছানা ইত্যাদি সব কিছুই শুকিয়ে নিতে পারবেন।
পোর্টেবল ক্লথ মিনি ড্রায়ার Auslese
এই Auslese ড্রায়ারে আপনি পাবেন টিউব মুডও, যাতে আপনি খুব সহজেই কয়েক মিনিটের মধ্যে জুতা, মোজা, জামাকাপড়, বিছানা ইত্যাদি সব কিছুই শুকিয়ে নিতে পারেন। মূলত এটি একটি পোর্টেবল ডিভাইস, যা মূলত ৪০০ ওয়াট শক্তি সাপোর্ট করে।
২২০ ভোল্ট বৈদ্যুতিক পোর্টেবল ড্রায়ার
এই ডিভাইসটিতে ২৫০ ওয়াট ড্রাইং পাওয়ার সাপোর্ট করে। এর মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জামা কাপড় শুকিয়ে ফেলতে পারবেন। এটিও আকারে খুবই ছোট।
পোর্টেবল ড্রায়ার Xpressdryr Aurate প্রো ম্যাক্স
আপনি এই Xpressdryr Aurate প্রো ম্যাক্স ড্রায়ারে পাবেন অনেক রকম ফিচার। এতে আপনি আপনার শিশুর কাপড়ও খুব আরামে শুকাতে পারবেন। তবে কেনার পূর্বে আপনাকে কাস্টোমার রিভিউ দেখে নিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় অফার দেখে তবেই কিনতে হবে আপনাকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org