দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলো ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)।
সম্প্রতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক দু’টি চুক্তি (পার্টিসিপেটরি অ্যাগ্রিমেন্ট) করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই চুক্তির উদ্দেশ্য নারীদের জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোগ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা (স্মল এন্টারপ্রাইজ রিফাইন্যান্স স্কিম) এবং কৃষিভিত্তিক পণ্য প্রক্রিয়াকরণে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার অধীনে সিএমএসএমই (কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি) গ্রাহকদের ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা প্রদান করা।
বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক এই চুক্তি স্বাক্ষরটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (সিজিডি) নাহিদ রহমান ও ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী আরিফ কাদরী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, ইউসিবির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শাহ আলম ভূঁইয়া, ইউসিবির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব এসএমই মো. মোহসিনুর রহমান। অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইউসিবি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে কৌশলগত এই অংশীদারত্ব উদ্যোক্তা বৃদ্ধি, বিশেষ করে যারা নারী উদ্যোক্তা ও যারা কৃষিভিত্তিক পণ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গেও যুক্ত সেইসব এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন আরও সহজ করবে। ইউসিবির লক্ষ্য এই চুক্তির মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধা সম্প্রসারণ ঘটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org