দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাপানের বিখ্যাত টু হুইলার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ামাহা নিয়ে এলো ৫৬০ সিসির স্কুটার। মডেল ইয়ামাহা টিম্যাক্স ৫৬০, মূলত এটি একটি ম্যাক্সি স্কুটার। এতে অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের মতো ক্ষমতা রয়েছে। জাপানে এই স্কুটারের বেশ নামডাকও রয়েছে।
ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াতে বিক্রি হয় ইয়ামাহার ম্যাক্সি ডিজাইনের স্কুটার ম্যাক্স ৫৬০। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে এসেছে এই স্কুটারটির ২০২৪ এডিশন। রূপে-গুণে চমকপ্রদ এই টু হুইলার নতুন অবতারে লঞ্চ হলো বাজারে। নতুন টিএফটি কালার ডিসপ্লে যোগ করলো ইয়ামাহা। তাছাড়াও আরও অনেক ফিচার্স পাওয়া যাবে এই ম্যাক্সি স্কুটারটিতে।
ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, ফুল কালার টিএফটি ডিসপ্লে, ক্রুজ কন্ট্রোল, কি-লেস ইগনিশন, নেভিগেশন সিস্টেমসহ একাধিক সুবিধাও রয়েছে এই স্কুটিতে। যে কারণে এটি হয়ে উঠেছে একেবারে পারফেক্ট অ্যাডভেঞ্চার স্কুটার। পাহাড় হোক কিংবা জঙ্গলই হোক দাপিয়ে বেড়াবে অনায়াসে। কারণ শুধু স্মার্ট ফিচার্সই নয়, এতে রয়েছে শক্তিশালী ইঞ্জিন।
এই স্কুটারটিতে ৫৬০ সিসি টুইন সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন রয়েছে। যা সর্বোচ্চ ৪৭ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করতে সক্ষম। ডিস্ক ব্রেক এবং অ্যান্টি লক ব্রেকিংও পাবেন যা চালকের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে। হাইওয়ে দিয়ে চালানোর সময় দারুণ পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম এই স্কুটারটি। আবার আরামদায়কও।
আর প্রচুর আন্ডার সিট স্টোরেজ পাবেন। যেখানে অ্যাডভেঞ্চারের জিনিসপত্রও বহন করতে পারবেন। পিলিওন রাইডারের ক্ষেত্রে বেশ আরামদায়ক সিটও রয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়ামাহা। এই ধরনের ম্যাক্সি স্কুটার আজকের যুগে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে বেশ ভালো চলছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org