দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তাড়াহুড়ো করে গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে গেলে সেই পানি না বেরোলে সংক্রমণের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে কানে জমে থাকা পানি বের করা খুব সহজ নয়। কয়েকটি উপায় মেনে চললে সুফল পেতে পারেন।
রাতে ঘুমোনোর পূর্বে মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখলেন। সকালে নির্দিষ্ট সময় অ্যালার্মও বাজলো। তারপর আপনার ঘুম ভাঙলো না। প্রায়ই এমন হয়ে থাকে অনেকের। তখন ঘুম থেকে ওঠার পরেই শুরু হয় যুদ্ধ। তাড়াগুড়ো করে গোসল করতে গিয়ে অনেক সময় কানে পানি ঢুকে যায়। কানে পানি ঢুকলে কান বন্ধ হয়ে যাওয়া, কানে যন্ত্রণার মতো নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পানি না বেরোলে সংক্রমণের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তবে কানে জমে থাকা পানি বের করা খুব সহজ নয়। কয়েকটি উপায় মেনে চললে সুফল পাওয়া যাবে।
# যে কানে পানি ঢুকেছে, সেদিকে মাথাটি কাত করুন। এরপর হাতের তালু কানের উপর রেখে চাপ দিন। এবার আপনার হাতটি সরিয়ে নিন। দেখবেন খানিকটা পানি বেরিয়েছে। এভাবে বেশ কয়েকবার করতে হবে।
# লম্বা শ্বাস নিন, তারপর আঙুল দিয়ে নাক বন্ধ করুন। বন্ধ নাক দিয়েই নি:শ্বাস ফেলার চেষ্টা করুন। তবে খুব জোরে বল প্রয়োগ করতে হবে না, সাধারণত যেভাবে নি:শ্বাস ফেলেন সেভাবে ফেললেই হবে। যখন কানে আওয়াজ শুনতে পাবেন, তখনই বুঝবেন যে পানি বেরিয়ে বন্ধ কান ঠিক হয়ে গিয়েছে।
# চিউইং গাম জাতীয় জিনিস চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। চিউইং গাম চিবানোর সময় দাঁত, মাড়ি এবং কানের পাশের পেশিগুলোর ওঠাপড়ায় কানের পানি বেরিয়ে আসবে। এতে করে বন্ধ কান খুলে যাবে।
# এতোকিছু করে সমস্যা না মিটলে অবশ্যই চিকিৎসকের পারমর্শ নিতে হবে। কখনও বাজারের সাধারণ কোনো কানের ড্রপ কিনে ব্যবহার করবেন না। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই ওষুধ এবং ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org