দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি মানেই চমক এবং নান্দনিক মান। ঈদের বিশেষ ইত্যাদির গান মানেই বাড়তি সব আয়োজন, বাড়তি আকর্ষণ এবং সেইসঙ্গে ভিন্নমাত্রা।
ইত্যাদি সবসময়ই চেষ্টা করে গানের কথা, সুর, দৃশ্যায়ন এবং শিল্পী নির্বাচনে কিছুটা হলেও এই বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরের ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে ফোক এবং আধুনিক এই দুই ধারার সমন্বয়ে তৈরি একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রয়াত সংগীতশিল্পী খালিদ হাসান মিলুর দুই সন্তান প্রতীক হাসান এবং প্রীতম হাসান। গানটির ফোক অংশে ইত্যাদিতেই গাওয়া খালিদ হাসান মিলুর সেই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় একটি গানের কিছুটা ছোঁয়াও রয়েছে।
এবারের গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, আর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান। গানটিতে এই দুই ভাইয়ের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন ৮ জন তরুণ বিট বক্সার। গত ২ মার্চ মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে ইত্যাদির বিশাল সেটে গানটির চিত্রধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, খালিদ হাসান মিলু-বাংলা সঙ্গীত জগতের এক উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন। অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা, ক্ষণজন্মা এই সংগীতশিল্পীর ইত্যাদিতে গাওয়া সবগুলো গানই সেই সময় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলো। এই শিল্পীর সপরিবারে জীবনের শেষ সাক্ষাৎকার এবং শেষ গানটিও প্রচারিত হয়েছিলো ইত্যাদিতে। এমনকি খালিদ হাসান মিলুর দুই সন্তান প্রতীক হাসান এবং প্রীতম হাসানের প্রথম পর্দা আবির্ভাবও ঘটেছিলো এই ইত্যাদির মাধ্যমেই। দুই ভাই প্রতীক এবং প্রীতম একসঙ্গে প্রথম জুটি বেঁধে গান করেন ইত্যাদিতে।
প্রতিবারের মতো এবারও ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, আর প্রতিবারের মতোই স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড। এবারও ঈদের বিশেষ ইত্যাদি ঈদের পরদিন একযোগে বিটিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডে’র ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারিত হবে। তথ্য ও ছবি: হানিফ সংকেত এর ভেরিফাইড ফেসবুক হতে প্রাপ্ত।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org