দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাথমিক পর্যায়ের (এন্ট্রি-লেভেল) ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়নে দেশের ৮টি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং এবং ইনকিউবেশন প্রকল্পে এই বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫,৪০০টি টেস্ট পরিচালনা করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে টেস্টগুলো ডিজাইন করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি এই টেস্ট পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং এফইটি ডেলিভারি পার্টনারদের মধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ফাউন্ডেশন ইংরেজি টেস্টে সহজে এবং সমভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়ন করা হয়। যেসব প্রার্থীদের এন্ট্রি-লেভেল ইংরেজি দক্ষতার (কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্সে (সিইএফআর) এ১ এবং বি১ লেভেল) সনদ প্রয়োজন, তারা এই টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। টেস্টটি দ্রুত শেষ করা যায় ও একইসঙ্গে অর্থ সাশ্রয়ী।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ জনশক্তির বিকাশে দেশব্যাপী ৮টি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং এবং ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করেছে। শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং এবং ইনকিউবেশন সেন্টারের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেনো তাদের প্রার্থী এবং কর্মীদের প্রতিদিনকার কাজে ব্যবহৃত প্রাথমিক পর্যায়ের ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়ন করতে পারে সেজন্য এই উদ্যোগ চালু করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল হতে উপস্থিত ছিলেন এর ডিরেক্টর অব অপারেশনস জুনায়েদ আহমেদ, ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সারওয়াত রেজা ও বিজনেস পারসুইট ম্যানেজার তাসনীন তাবাসসুম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট প্রোগ্রামার রুনা পারভেজ।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অব অপারেশনস জুনায়েদ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফাউন্ডেশন ইংলিশ টেস্ট (এফইটি) গ্রহণ শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই উদ্যোগ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিদের সঠিক ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে পারে এমন কর্মী নিয়োগের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে৷ আমি আমাদের ডেলিভারি পার্টনারদের ধন্যবাদ দিতে চাই।
তারা দেশজুড়ে ৫,৪০০টি এফইটি সঠিকভাবে পরিচালনায় নিরলস কাজ করছেন।” ৮টি ডেলিভারি পার্টনার হলো: ডিক্রাউড আইটি লিমিটেড অ্যান্ড জেভি, লজিকাল ট্রায়াঙ্গাল-এনআরবি জবস-জায়ানজারা লিমিটেড, শ্যুটিং স্টার লিমিটেড, ওয়েবপারস লিমিটেড, অ্যাডি সফট লিমিটেড, এজ্জে টেকনোলজি লিমিটেড, কোডারস্ট্রাস্ট বাংলাদেশ এবং ডিজিকন টেকনোলজিস পিএলসি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সময়সূচির পরিকল্পনাসহ অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় ব্রিটিশ কাউন্সিল, যাতে অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পনা এবং সময় অনুযায়ী টেস্টের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org