দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুইডিশ মিউজিক স্ট্রিমিং কোম্পানি স্পটিফাই প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারদের জন্য সীমিত পরিসরের বেটা উন্মোচনে পূর্ণ দৈর্ঘের মিউজিক ভিডিও ফিচার চালু করতে যাচ্ছে।
এই কোম্পানিটি এমন খাতে নতুন উদ্যোগটি নিচ্ছে যেখানে ইউটিব অন্তত দুই দশক ধরেই আধিপত্য বিস্তার করে আছে। মিউজিক ভিডিওগুলো যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ব্রাজিল, সুইডেন, কলম্বিয়া, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া এবং কেনিয়ার প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য শীঘ্রই বেটা সংস্করণে চালু করা হবে বলে জানিয়েছে স্পটিফাই।
এছাড়াও, এই কোম্পানিটি এটিকে ব্যবহারকারী বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসাবে দেখছে বলে এক প্রতিবেদন দিয়েছে রয়টার্স।
সংবাদে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে একশো কোটি ব্যবহারকারীর মাইফলক অর্জন করার লক্ষ্য রয়েছে এই কোম্পানিটির। তবে, তাদের এই পরিকল্পনায় বড় বাধা হলো ‘অ্যাপল মিউজিক’ এবং অ্যালফাবেটের ‘ইউটিউব মিউজিক’। এইসব প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে মিউজিক ভিডিও দেখেন ব্যবহারকারীরা।
জানা যায়, স্পটিফাইয়ের এই ফিচারে সীমিত তালিকার কিছু মিউজিক ভিডিও থাকবে। যেখানে, ব্রিটিশ গায়ক এড শিরানের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় শিল্পীদের হিট গানসহ আলুনার মতো স্থানীয় ব্রিটিশ শিল্পীদের গানের ভিডিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের মার্চ মাসে স্পটিফাই ‘ক্লিপস’ নামে ফিচার চালু করেছিল। এগুলো ৩০ সেকেন্ডের কম দৈর্ঘের ভিডিও যা শিল্পীদের জন্য সরাসরি স্পটিফাইতে আপলোড করা হয়ে থাকে। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, স্পটিফাই মিউজিক ভিডিও এই মুহূর্তে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ডেস্কটপ এবং স্মার্ট টিভি অ্যাপ্লিকেশনেও পাওয়া যাচ্ছে।
জানা যায়, স্পটিফাই অ্যাপের প্রতিটি মিউজিকের পাশে Switch to Video ট্যাবও দেখা যাবে। এখানে ক্লিক করেই ওই মিউজিকের ভিডিও দেখা যাবে।
ফুল স্ক্রিন, ল্যান্ডস্কেপ মোড ছাড়াও বিভিন্নভাবে এই ভিডিও দেখা যাবে। ভিডিওর পাশে লেখা Switch to Audio অপশনে ক্লিক করে ভিডিও বন্ধ করে মিউজিকও শোনা যাবে।
সেইসঙ্গে, প্ল্যাটফর্মে আরও ব্যবহারকারী টেনে আনার জন্য কোম্পানিটি পডকাস্ট এবং অডিওবুক অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন অফার নিয়ে এসেছে বলে উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।
এ প্রান্তিকে তাদের প্রিমিয়াম গ্রাহক ২৩ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছাবে বলে ফেব্রুয়ারিতে পূর্বাভাস দেয় কোম্পানিটি। এটি কোম্পানির ২৩ কোটি ৮৩ লাখ অনুমানের চেয়েও বেশি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org