দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান প্রাত্যহিক জীবনে অনেকাংশেই সহজ হয়ে গেছে কিউআর কোড ব্যবহারে। কোনো তথ্য নেওয়া, কোনো সাইটে ঢোকা, কোনো কিছু করা এমনকি পেমেন্টের ক্ষেত্রেও কিউআর কোড বর্তমানে অতি জরুরি ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময় একইভাবে কিউআর কোড প্রতারণাও বেড়েছে। এখন কিউআর কোড জেনারেট করা খুবই সহজ। সহজ বলেই যে কেও চাইলেই এমন কোড বানিয়ে নিতে পারেন। এভাবে করতে গিয়েই তাদের পড়তে হচ্ছে নানা বিপাকে। এই বিপাক থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
কোম্পানির পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে
কোম্পানি কিংবা সেবার ক্ষেত্রে প্রথমে তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে হবে। তাদের সবকিছু সম্পর্কে জেনেই এমন কোনো কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। প্রয়োজনে কল সেন্টারে কল দিয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
অবশ্যই ইউআরএল দেখুন
প্রথমেই দেখুন লিংকে https:// দিয়ে শুরু হচ্ছে কি না। তা না হলে সেটি সুরক্ষিত না হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি থাকবে।
অচেনা কেও হলে যা করবেন
অচেনা কেও হলে তাদের সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিষয়গুলো ভেবে দেখতে হবে। নেট কিংবা ব্যাংকিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো ভেবে দেখাটা অবশ্যই জরুরি। অনেক সময় পাওনা টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কিউ আর জেনারেট করে দেওয়া হয়ে থাকে। এই কোড জেনারেট করে দেওয়া হয় কোনো সাইট থেকেই। এইসব সাইট থেকে জেনারেট করা কোড স্ক্যান না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এতে তথ্য চুরি হওয়ার শঙ্কাও থেকে যায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org