দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদিও এই পানীয় বেশি খাওয়াতে সমস্যাও রয়েছে। জিরা, ধনে ভেজানো পানি খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে গেলে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতার অভাবও দেখা দিতে পারে।
ক্রমেই গরমের দাপট বাড়ছে। গলদঘর্ম হতে জিমে যাওয়ার ইচ্ছে নেই মোটেই। অবশ্য খেয়ে উঠে রাতে সামান্য হাঁটাহাটি করেন। তাতে যথেষ্ট ক্যালোরি পুড়বে না। তাহলে কী করবেন? অনেকেই শরীর ঠাণ্ডা রাখতে, ডিটক্স করতে জিরা বা ধনে ভেজানো পানি খেয়ে থাকেন। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এই পানীয় ক্যালোরি পোড়াতে দারুণ কাজ করে। যে কারণে শরীরে বাড়তি মেদই জমতে পারে না। তবে, এই পানীয় বেশি খাওয়ায় সমস্যাও রয়েছে। জিরা, ধনে ভেজানো পানি খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে গেলে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতার অভাবও দেখা দিতে পারে। তাছাড়া ধনে খেলে অনেকের অ্যালার্জি হয়। তাই এই ধরনের পানীয় খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মেদ ঝরানোর এতো উপায় থাকতে জিরা, ধনের পানি উপর ভরসা রাখবেন কেনো?
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, জিরা ও ধনে ভেজানো পানি বার বার মুখ চালানোর প্রবণতা রুখে দিতে পারে। সে কারণে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমার সম্ভাবনা কমে আসে। এছাড়াও, বিপাকহার উন্নত করতে সাহায্য করে এই পানীয়টি। এর বাইরে, জিরা, ধনের মধ্যে এমন কিছু উপাদানও রয়েছে, যা শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
শরীরের আর কী কোন উপকারে লাগে এই পানীয়?
# যদি আপনার হজমের সমস্যা থাকে তাহলে এই পানীয় খেতে পারেন। গ্যাস, পেট ফাঁপা, নিরাময়ে দারুণ কাজ করে এই পানীয়।
# বিপাকহার বাড়লে শরীরে মেদ জমার পরিমাণও কমবে। এছাড়াও ক্যালোরি পোড়ানোর ক্ষেত্রে এই পানীয় অনুঘটকের মতোই কাজ করে।
# ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকার বড় একটি কারণই হলো, খাবার দেখলেই খেয়ে ফেলার প্রবণতা বৃদ্ধি। সেই প্রবণতা অনেকটা হলেও বশে রাখে এই পানীয়টি।
জিরা ও ধনে দিয়ে তৈরি বিশেষ এই পানীয় তৈরি করবেন যেভাবে
একটি কাচের পাত্রে পরিমাণ মতো পানি, সম পরিমাণ জিরা ও ধনে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ওই পানি সামান্য গরম করে নিয়েই ছেঁকে নিন। গ্লাসে ঢেলে তারমধ্যে এক টুকরো লেবুর রস, ১ চা চামচ মধু দিয়ে সেটি খেয়ে নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org