দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালালো লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) চালানো এই হামলায় ইসরায়েলের ১৪ সেনা আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও স্বীকার করেছে যে, এই হামলায় তাদের ১৪ সৈন্য আহত হয়। আহত সেনাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানানো হয়।
জবাবে লেবানন থেকে আরব আল আরামশে বেদুইন গ্রামের দিকে গোলাবর্ষণের বেশ কয়েকটি উৎস এবং অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল ও ড্রোন উৎক্ষেপণ শনাক্ত করার পর ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায়। ইসরায়েলি ইয়েনেট নিউজ সাইট জানিয়েছে যে, ইসরায়েলে ওই সৈন্যরা গ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান করছিল।
তার আগে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ফিল্ড কমান্ডারসহ ৩ জন নিহত হন বলে লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র জানায়।
বুধবার, ইসরায়েলের বিমান বাহিনী জানায়, তাদের যুদ্ধবিমান পূর্ব লেবাননের বালবেকের উত্তরে হিজবুল্লাহর অবকাঠামোতে আঘাত করে। যদিও লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত অঞ্চলেই ইসরায়েল এতোদিন তার বেশিরভাগ হামলা চালিয়ে আসছিলো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org