দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মিলনমেলা হিসেবে খ্যাত ২৪-২৬ এপ্রিল, ২০২৪ জাপানের টোকিও বিগসাইটে অনুষ্ঠিত জাপান আইটি উইক ২০২৪- এ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর ২১টি সদস্য প্রতিষ্ঠানঅংশগ্রহণ করছে।
জাপানের এই ট্রেড শোতে অংশগ্রহণকারি বেসিস সদস্যরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণের জ ন্য বিটুবি মিটিং, সেমিনার, এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও, অংশগ্রহণকারী স্টল গুলোতে বেসিস সদস্যদের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য এবং পরিষেবা সম্পর্কে জানানো এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারি-তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই মিলনমেলা।
মেলার অংশ হিসেবে বুধবার জাপান আইটি উইক ২০২৪-এ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আপনার আইটি গন্তব্য’ শীর্ষক আয়োজিত হয়। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আরিফুল হক এবং ডেসটেনি ইংক-এর সিওও রেজওয়ানুর কবির। অনুষ্ঠিত আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
জিএসএম জাফরুল্লাহ, এনডিসি।
সেমিনারে বলা হয় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারিদের জন্য পরবর্তী গন্তব্য হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যেকোনো আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা প্রদানে সক্ষম। আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার ও অ্যাপ মার্কেটেও বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়।
এবারের জাপান আইটি উইকে বেসিসের সদস্য ১৬ টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে নিজেদের সেবা প্রদর্শন করবে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলোঃ ন্যাসেনিয়া লিমিটেড, ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি, কাওয়াই অ্যাডভান্সড টেকনোলজি অ্যান্ড সলিউশন লিমিটেড, বিজেআইটি লিমিটেড, ড্রিমঅনলাইন লিমিটেড, এট্রাবিট আইসিটি সলিউশন, এডুসফট কনসালট্যান্টস লিমিটেড, বাইনেট সলিউশন্স লিমিটেড, ফ্রনচার টেকনোলজিস লিমিটেড, এসটিআইটিবিডি, পেন্টা গ্লোবাল লিমিটেড, ন্যানোসফট সিস্টেম, হ্যালো ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, বিডিকলিং আইটি লিমিটেড, ইন্টেলিয়ার লিমিটেড এবং রেভো ইন্টারেক্টিভ।
প্রথম দিনে ভিজিটর হিসেবে অংশ নিচ্ছেন বেসিসের ৫টি সদস্য প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলোঃ প্রাইডসিস আইটি লিমিটেড, দেশলিংক লিমিটেড, কিউ এ হার্বার লিমিটেড, বিটেক্স টেকনোলজিস লিমিটেড এবং হাইপার ট্যাগ সলিউশন্স লিমিটেড। বাংলাদেশ থেকে জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণে সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করেন বেসিস পরিচালক ও বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
উল্লেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রকৃত উন্নয়নে বেসিস জাপানের আইটি মার্কেট অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সুবিধার্থে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছে। বাংলাদেশের দ্রুতগতির আইটি বা আইটিইএস সেক্টর জাপানি আইসিটি উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে প্রস্তুত।
খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org