দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই দিনে ২ থেকে ৩ বার এই পানীয়তে চুমুক দেন। এতে উল্টো শরীরের আরও ক্ষতিও হতে পারে। এটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি খেলে কী হতে পারে?
স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন এমন অনকেই রয়েছেন, যারা দিনটা শুরু করেন অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে চুমুক দিয়ে। রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এর জুড়ি নেই। ত্বকের যত্নেও এই পানীয় অনেক উপকারী। তবে অ্যাপল সাইডার ভিনেগারে অম্লের মাত্রা বেশি থাকায়, খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। দিনে ১৫ মিলিলিটার কিংবা বড় এক চামচের বেশি অ্যাপর সাইডার ভিনেগার না খাওয়াই ভালো। অনেকেই রোগা হওয়ার আশায় দিনে ২ থেকে ৩ বার এই পানীয়তে চুমুক দেন। এতে উল্টে শরীরের আরও ক্ষতি হতে পারে। নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি এটি খেলে কী হতে পারে?
# অ্যাপল সাইডার ভিনেগারে অ্যাসিডের পরিমাণ থাকে বেশি। যে কারণে, এটিতে হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।
# অ্যাপল সাইডার ভিনেগার শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। সেগুলো প্রস্রাবের মধ্যেদিয়ে শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। আর তখন ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। যে কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। গরমের দিনে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
# অ্যাপল সাইডার ভিনেগারে অম্লের ভাগ অত্যন্ত বেশি থাকে। ধারাবাহিকভাবে এই পানীয় খাওয়ার প্রভাব পড়তে পারে দাঁতে। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে দেয়।
# আবার অ্যাসিড যুক্ত পানীয় বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রাও হ্রাস পায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলা হয়, ‘হাইপোক্যালিমিয়া’।
# আবার যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদেরও বুঝেশুনে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত মাত্রায় এটি খেলে হজমের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে, তাই সকলকেই এই বিষয়ে সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org