দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি পাকা আম খেলে রক্ষে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। আর শুধু রক্ত শর্করা বেড়ে যায় তা তো নয়। ক্যালোরি বেশি থাকায় এতে ওজনেও হেরফের হতে পারে। ক্যালোরির পরিমাণও প্রায় ১৫০।
আমের সময় চলে আসছে। এই সময় গরম সহ্য করার একটা তো ইতিবাচক কিছু থাকতে হবে। আছেও তো! গরম সহ্য করার ফল হলো এই সুমিষ্ট পাকা আম। সামনের দু’এক মাস প্রায় প্রতিদিনই আম খাওয়া যাবে। তবে রক্তে যদি শর্করা বাড়তির দিকে থাকে, তাহরে? আম খাওয়া কী ঠিক হবে?
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০-এরও বেশি। তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তবে আমের পরিমাণ ও আম খাবার সময় সম্পর্কে সচেতন থাকলে ডায়াবেটিকরাও আম খেতে পারেন নির্ভাবনায়। ডায়াবেটিস থাকলে বা রক্তে শর্করা বাড়তির দিকে থাকলে দিনে ৩০ হতে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত আম খাওয়া যেতেই পারে। তবে, দুপুরে কিংবা রাতে খাবার খাওয়ার পর আম দিয়ে মোটেও মিষ্টিমুখ করা যাবে না। খুব ভালো হয় যদি সকালের নাস্তায় এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে কোনও একটি সময় আম খেয়ে নিতে পারেন।
আম খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে এই ফলটি খেতে হবে একটু বুদ্ধি করে। অর্থাৎ যে দিন আম খাওয়া হবে, সে দিন মিষ্টিজাতীয় অন্য কোনও খাবার যেমন কেক-পেস্ট্রি, রসগোল্লা, নরম পানীয় মোটেও খাওয়া যাবে না। তাহলে এক সঙ্গে অনেক ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org