ওজন ঝরাতে ডায়েট করেও ফল না পেলে জানতে হবে খিদে নিয়ন্ত্রণ করার টোটকা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়েট করার শুরুর দিকে ঘন ঘন খিদে পাওয়া খুব স্বাভাবিক। তবে খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ওজন কিছুতেই কমবে না! খিদে পেলে কীভাবে তা সামাল দেবেন, জানতে হবে সেই টোটকা।

প্রতিদিন নানা অনিয়মে ভুঁড়ি যেনো বেড়েই চলেছে? ওজন ঝরাতে তাই ডায়েটই কী ভরসা? দিন রাত কড়া ডায়েট মেনেও মেদ যেনো কিছুতেই জব্দ হচ্ছে না! গলদ থাকতে পারে ডায়েটেই।

ডায়েট করার মধ্যেই খিদে পেলে মুখে পুরছেন রকমারি স্ন্যাকস? অনেকেই ভাবেন যে, পরিমাণে কম খেলে বুঝি রোগা হওয়া যায়। এমনটি কিন্তু মোটেও নয়। ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হয়। ডায়েট করার শুরুর দিকে খিদে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ওজন কিছুতেই কমবে না। খিদে পেলে কীভাবে তা সামাল দেবেন, জানতে হবে সেই টোটকা।

Related Post

# আপনার যখনই খিদে পাবে, তখনই বেশি করে পানি খেয়ে নিন। এই টোটকায় খিদে অনেকটা কমে আসবে। পানি খেলে পেট ভরে যায়। যে কোনও ডায়েট করার সময় পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। এতে করে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বেরিয়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিও তখন কমে আসে। চাইলে বার বার ডিটক্স ওয়াটারও চুমুক দিতেই পারেন।

# ডায়েট করার সময় বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখতে পারেন আপনার খাদ্যতালিকায়। এই প্রকার খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, আর সে কারণে খিদে কম পায়। ওট্‌স, বার্লি, ফল এবং শাক-সব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। তাছাড়াও খেতে পারেন মটর, শিম এবং বিভিন্ন প্রকার ডাল।

# আবার প্রোটিনও খিদে কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট করার সময় চার ঘণ্টা অন্তর প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার রাখলে সেটি খিদে পাওয়ার অনুভূতি কমাতেও সাহায্য করে। খিদে পেলে মোটেও ভাজাভুজি নয়, সেদ্ধ ডিম খেলে বেশি উপকার পাবেন।

# আপনাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন। যে কারণে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও বেড়ে যায়। এই রকম হলে তবে আমরা অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। আর তখন ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার পূর্বে তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত হন। নইলে শত চেষ্টাতেও ওজন কিন্তু কমবে না।

# খাওয়ার সময় কখনও তাড়াহুড়ো করবেন না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণই ভরা থাকে। সে কারণে খিদে কম পায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on মে ২০, ২০২৪ 2:29 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

২৪ বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদ: ৪৯ বছর পর প্রাক্তন স্ত্রীকে আবারও বিয়ে ৯৪ বছরের বৃদ্ধের!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…

% দিন আগে

শীতের সকালে গাছি চলেছে খেজুরের রস নিয়ে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে

লিকার চা খাবেন নাকি কালো কফি? কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা দুধ চা খেতে বারণ করেছেন…

% দিন আগে

মনির খান আবারও নতুন ‘অঞ্জনা’ নিয়ে আসছেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোনো দোষ নেই’।…

% দিন আগে

গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ: ১০ ফুট উড়ে রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে মারা গেলো চতুষ্পদ! [ভিডিও]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে। দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়েতে…

% দিন আগে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরিফাইল জামে মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৫ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে