দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেনই না যে, দীর্ঘক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। যাদের এগজ়িমা বা সোরাইসিসের মতো রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠতে পারে।
এবার গরম বেশিই পড়ছে। তাই গরমে এক মুহূর্ত স্থির থাকা যাচ্ছে না। গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফিরেই গোসল করেও শান্তি পাওয়া যাচ্ছে না। অফিসে বেশির ভাগ সময় যেহেতু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের মধ্যে কাটে, তাই বাড়ি ফিরে এসি না চালিয়ে থাকতে পারেন না। বেশির ভাগ সময় এসিতে থাকার কারণে ত্বকেও নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এই বিষয়ে ত্বকের চিকিৎসকরা বলেছেন, অনেকেই হয়তো জানেনই না যে, দীর্ঘক্ষণ এসি ঘরে থাকলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। যাদের এগজ়িমা বা সোরাইসিসের মতো রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠতে পারে। তবে উল্টোটাও যে হয়, তা হয়তো অনেকেই জানেনই না। অর্থাৎ, দীর্ঘক্ষণ এসি’র মধ্যে থাকলে তৈলাক্ত ত্বক আরও তেলতেলেও হয়ে উঠতে পারে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে ত্বকের আর কী কী সমস্যা হতে পারে
# বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমিয়ে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই যন্ত্রটি। দীর্ঘক্ষণ তেমন পরিবেশে থাকলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। যে কারণে ত্বক ডিহাড্রেটেড হয়ে পড়ে। যাদের ত্বক শুষ্ক বা স্পর্শকাতর, তাদের সমস্যা আরও বেড়েও যেতে পারে।
# আর্দ্রতা কিংবা ময়েশ্চার ধরে রাখার নিজস্ব ক্ষমতা ত্বকের রয়েছে। তবে দীর্ঘক্ষণ এসি’র মধ্যে থাকার কারণে ত্বকের এই ক্ষমতা নষ্ট হয়। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ার কারণে এগজ়িমা, সোরাইসিস-এর মতো সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
# অনেক সময়, উল্টোটাও হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকার কারণে ত্বক সাধারণত ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ত্বক নিজে থেকেই ‘সেবাম’ উৎপাদনের হারও বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব আরও বেড়ে যায়। ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার পিছনে ওই এসি’র হাতও থাকতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org