দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে প্রার্থী তালিকায় নাম শোনা গেছে বারাক ওবামা পত্নী মিশেল ওবামার। সম্প্রতি ডেমোক্রেটিক শিবিরে জো বাইডেনের পাশাপাশি সাবেক এই ফাস্ট লেডির নাম বেশ জোরেশোরেই প্রচার হতে শোনা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দলের অনেকেই বলেছেন যে, বাইডেন মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়েছেন। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে যুক্তিতর্কে তিনি টিকতে পারছেন না। তবে নির্বাচনে আপাতত মোটেই আগ্রহ নেই মিশেল ওবামার। -খবর সিএনএনের।
অনেক ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ভাবতে শুরু করেছেন যে, ট্রাম্পের সামনে টিকতে পারবেন না বাইডেন। রিপাবলিকান আইন প্রণেতা টেড ক্রুজ বলেছেন যে, ‘সিএনএনের বিতর্কে পরাজিত হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনকে সরিয়ে দিয়ে মিশেলকেই মনোনয়ন দেবে। ৯ মাস পূর্বেই আমি বলেছিলাম যে, বাইডেনকে শেষপর্যন্ত হটিয়ে মিশেল ওবামাকে প্রার্থী করবেন ওরা। আমার মনে হচ্ছে, এখন সেটিই হবে।’
সিএনএনের বিতর্কে বাইডেনকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, তিনি পরবর্তী ৪ বছর হোয়াইট হাউসের কাজ পরিচালনার মতো কার্যকরীও থাকবেন না। এই অবস্থায় ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও সেই ভাবনা কুড়েকুড়ে খাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তাই দলের অন্দরে অনেকেই চাইছেন বাইডেনকে সরিয়ে মিশেল ওবামাকে নতুনভাবে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হোক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ৩ মাস পূর্বে আগামী আগস্টে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশন রয়েছে। সেখানে প্রার্থীর নাম পরিবর্তন হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনাও রয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ওই রাতে খুব খারাপ একটি বিতর্ক হয়েছে। তবে, শেষে একটাই কথা বলতে পারি যে, এই নির্বাচনে মানুষ কাকে বেছে নেবে। একজন ব্যক্তি যিনি সারাজীবন সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। নাকি সেই একজন যিনি কেবলমাত্র নিজের উন্নতির কথাই ভেবে গেছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org