দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে সময়ই যোগাসন করুন না কেনো, তার আগে কিংবা পরে কী খাবেন তা নিয়ে সারাক্ষণ মাথায় নানা রকম চিন্তা ঘুরতে থাকে। তবে চিন্তার কিছু নেই আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
শরীর ও মন সুস্থ রাখতে প্রতিদিনই যোগাসন করেন। বেশির ভাগ দিনই সকালে ঘুম থেকে উঠেই শরীরচর্চা করেন। ছুটি থাকলে বিকালে করেন। তবে যে সময়ই যোগাসন করুন না কেনো, তার আগে কিংবা পরে কী খাবেন তা নিয়ে আপনার সারাক্ষণ মাথায় নানা রকম চিন্তা ঘুরতে থাকে। প্রশিক্ষকরা যোগাসন করার পূর্বে কিংবা পরে ভরপেট খেতে বারণ করেন। এমনকি বেশি পানি খেলেও সমস্যা হতে পারে। তাহলে খাবেন কী?
তবে শরীরচর্চা করতেও এনার্জি প্রয়োজন। ঘুম থেকে উঠেই একেবারে খালি পেটে শরীরচর্চা করলে বেশিক্ষণ মনোযোগ দিয়ে ব্যায়াম করতে পারবেন না। এর চেয়ে বরং সকালে যোগাসন শুরু করার ঘণ্টাখানেক পূর্বে একটি পাকা কলা খেতে পারেন। বেরিজাতীয় ফল, ইয়োগার্ট, স্মুদিও খাওয়া যেতে পারে এই সময়।
সকালে যোগাসন করার পর কী খাবেন
শরীরচর্চা করার পর পরই প্রচণ্ড খিদে লাগতে পারে। তবে প্রশিক্ষকরা বলেছেন, যোগাসন শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু না কিছু খাওয়াই ভালো। অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি খাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজন বুঝলে ‘ওআরএস’ (ওরস্যালই) খেতে পারেন। সাধারণত শরীরচর্চা করার পরই খুব ভারি কিছু খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদরা। নানা রকম ফল, বাদাম, বীজ দিয়ে তৈরি স্যালাডও খেতে পারেন। সেদ্ধ ডিম কিংবা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ খাওয়া যেতে পারে।
বিকালে যোগাসন করার আগে কী খাবেন
আপনি যদি বিকালে যোগাসন করেন, তাহলে মধ্যাহ্নভোজের পর অন্তত ৩ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে। যোগাসন করার পূর্বে যদি খিদে পেয়ে যায়, তাহলে হালকা কোনও খাবার যেমন- ড্রাই ফ্রুটস, স্যালাড বা সেদ্ধ সব্জি খাওয়া যেতেই পারে।
বিকালে যোগাসন করার পর কী খাবেন
শরীরচর্চা করার পর খিদের জ্বালায় অনেকেই তেলমশলা দেওয়া, ফ্যাটযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। যা মোটেও উচিত নয়। এর পরিবর্তে বাড়ির তৈরি কম কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেতেই পারেন। প্রোটিন রয়েছে, এমন খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেলেও হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org