দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সবাই ভেবেছেন দীঘির বোধহয় বিয়ে হচ্ছে! কিন্তু বাস্তবতা কি তার প্রমাণ পরে পাওয়া গেলো। আসলে বিয়ের কার্ডের ছবি নিয়ে দীঘি একটি পোস্ট করেন, মূলত তা নিয়েই হৈ চৈ শুরু হয়েছে বিনোদন জগতে!
১ জুলাই রাতে সামাজিক মাধ্যমে এই অভিনেত্রীর একটি পোস্ট দেন। আর সেটি নিয়ে নেটদুনিয়াও রীতিমতো তোলপাড়। পোস্টে দেখা যায় যে, তার অনামিকায় দেখা যাচ্ছে একটি আংটি। আর মেহেদী রাঙানো হাত। তার হাতের নিচে বিয়ের কার্ড! ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, আর অপেক্ষা করতে পারছি না…! সবকিছু’র জন্য আলহামদুলিল্লাহ।
অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ৩ বার অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এখনও দর্শকদের চোখে ভাসে সেই ছোট্ট দীঘির অভিনয় ও কানে বাজে তার মিষ্টি সংলাপ।
সেই দীঘি এখন শিশুশিল্পী নেই, পড়া-শোনা শেষ করে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। ২০২১ সালে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। এরপর তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ এবং ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেন। র্তেশেষ সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’-এর মাধ্যমে আবারও বড় পর্দায় আসেন দীঘি। নতুন বছরে নতুন ছবি মুক্তির মাধ্যমে দীঘির যাত্রা শুরু হলেও হাতে কোনো নতুন ছবির খবরই ছিল না এই অভিনেত্রীর।
দীঘির এমন পোস্টের পর অনেকের মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাহলে কী বিয়ে করে ফেলেছেন দীঘি? আবার কেও কেও বলছেন, বিয়ে নাকি অভিনয়?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখনই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন না এই অভিনেত্রী। ফেসবুকের ওই পোস্টটি মূলত প্রমোশনাল। চুক্তিবদ্ধ হওয়া নতুন একটি সিনেমার প্রমোশনের উদ্দেশেই ওই পোস্টটি দিয়েছেন দীঘি।
এ সম্পর্কে দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রত বলেন, অনেকেই যে রকম ভেবেছেন, বিষয়টি আসলে কিন্তু তা নয়। সামনে দীঘির নতুন একটি সিনেমা আসছে, সেটির প্রমোশনাল পোস্ট এটি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org