দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেটমাধ্যমে প্রভাবী হিসাবে কাজ করেন মেরি তেমারা। তার উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট! টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করেন প্রতিনিয়ত। প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। তবুও হতাশ থাকেন তরুণী। কারণ হলো তিনি প্রেমহীন জীবন কাটাচ্ছেন!
এই তরুণীর জীবনে রোম্যান্টিকতার ‘র’ও নেই। সে কারণে মনমরা হয়ে থাকেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন মেরি তেমারা।
নেটমাধ্যমে প্রভাবী হিসাবে কাজ করেন মেরি। তার উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করেন। কোনও কোনও ভিডিও শুটের জন্য মেরি সঙ্গী হিসাবে বেছে নেন তার থেকে কম উচ্চতার ব্যক্তিদের। তবে পেশাগত জীবন নিয়ে তিনি এতোই ব্যস্ত থাকেন যে, প্রেম করার জন্য সময় বের করতে পারেন না। সাক্ষাৎকারে মেরি জানিয়েছেন, স্কুলে পড়াকালীন উচ্চতা নিয়ে তিনি বার বার কটাক্ষের শিকার হতেন। তবে এই উচ্চতাকেই নিজের শক্তি বানাবেন বলে স্থির করেন।
মেরি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এখন আমার উচ্চতার জন্যই লোকজন আমাকে চেনেন। আমি রোজগারও করছি। বাবা-মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করার ইচ্ছা আমার রয়েছে। বয়স হলে তাদের যেনো আর্থিক দিক থেকে কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, সর্বক্ষণ সেই চেষ্টা করি।’’ টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে প্রতি মাসে ভারতীয় মুদ্রায় ৬’কোটি ৭১ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তরুণী। ইনস্টাগ্রামের পাতায় ২০ লক্ষ অনুগামীও রয়েছে মেরির।
মেরি আরও জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে প্রেম করছেন না ভাবলে তার কষ্টও হয়। প্রেমিক হিসাবে তিনি কেমন মানুষ চান তাও জানিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে মেরি বলেন, ‘‘আমার প্রেমিকের উচ্চতা যদি আমার চেয়ে কমও হয়, ও যদি আমার চেয়ে কম রোজগারও করে তাতেও আমার কিছু যাবে আসবে না। মানুষ হিসাবে এবং যেনো ভালো হয়। দয়ালু, চরিত্রবান ও মাটির মানুষ হয়।’’ তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org