দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৩ এবং ১৪ প্রজন্মের র্যাপটর লেক ইন্টেল কোর সিপিইউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) দিয়ে চলা অনেক ডেস্কটপ কম্পিউটারে কয়েক মাস ধরে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এবার ওইসব ত্রুটি রয়েছে এমন প্রসেসরের তালিকা প্রকাশ করেছে ইন্টেল।
সাধারণত এইসব কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিংবা ক্রাশের ঘটনা ঘটছে বলে জানা যায়। অবশ্য এই সমস্যা সমাধানে বিশেষ সফটওয়্যার কিংবা প্যাচও উন্মুক্ত করা হয়। সেইসঙ্গে যেসব প্রসেসর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেইসবের ওয়ারেন্টির মেয়াদের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়।
এই সমস্যা শনাক্তের জন্য শীর্ষ প্রসেসর নির্মাতা ইন্টেল যে পরীক্ষা চালায়, তাতে মূলত সিপিইউতে সমস্যাও ধরা পড়ে। সিপিইউর কোরে অনেক বেশি ভোল্টেজ যাওয়ার কারণে কম্পিউটার ক্রাশের ঘটনাও ঘটতো। যে কারণে কম্পিউটার ক্রাশের পাশাপাশি প্রসেসরের স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা ছিল। যেসব প্রসেসরে এই ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়, তার তালিকাও প্রকাশ করেছে ইন্টেল। বলা হয়েছে যে, এইসব প্রসেসরে চলা ডেস্কটপ কম্পিউটারে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। মুঠোফোন কিংবা ল্যাপটপ সংস্করণে এইসব সমস্যা দেখা যায়নি। যেসব প্রসেসরে ত্রুটি পাওয়া গেছে, প্রকাশ করা সেগুলো হলো:
১৩ জেনারেশনের ইন্টেল কোর আই: ৯ ১৩৯০০ কেএস, আই ৯ ১৩৯০০ কে, আই ৯ ১৩৯০০ কেএফ, আই ৯ ১৩৯০০ এফ, আই ৯ ১৩৯০০, আই ৭ ১৩৭০০ কে, আই ৭ ১৩৭০০ কেএফ, আই ৭ ১৩৭৯০ এফ, আই ৭ ১৩৭০০ এফ, আই ৭ ১৩৭০০, আই ৫ ১৩৬০০ কে এবং আই ৫ ১৩৬০০ কেএফ।
১৪ জেনারেশনের ইন্টেল কোর আই: ৯ ১৪৯০০ কেএস, আই ৯ ১৪৯০০ কে, আই ৯ ১৪৯০০ কেএফ, আই ৯ ১৪৯০০ এফ, আই ৯ ১৪৯০০, আই ৭ ১৪৭০০ কে, আই ৭ ১৪৭০০ কেএফ, আই ৭ ১৪৭৯০ এফ, আই ৭ ১৪৭০০ এফ, আই ৭ ১৪৭০০, আই ৫ ১৪৬০০ কে এবং আই ৫ ১৪৬০০ কেএফ। তথ্যসূত্র : জেডডিনেট।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org