দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চুল ছোটই হোক কিংবা বড়ই হোক, সহজ কৌশল জানা থাকরে বাড়িতেও করে নিতে পারেন কেশসজ্জার কাজটি। চুলে বেঁধে কিংবা ছেড়ে কীভাবে সুন্দর হয়ে উঠতে পারেন? আজ রয়েছে কৌশল।
চুল ছোটই হোক কিংবা বড়ই হোক, সহজ কৌশল জানা থাকরে বাড়িতেও করে নিতে পারেন কেশসজ্জার কাজটি। চুলে বেঁধে কিংবা ছেড়ে কীভাবে সুন্দর হয়ে উঠতে পারেন? আজ রয়েছে কৌশল। জেনে নিন কম সময়ে কীভাবে, কোন কেশসজ্জায় রূপ খুলবে? চুল পুরো বাঁধবেন না কি অর্ধেকটা, খোলা চুলও কোন কারিকুরিতে দেখতে লাগবে খুব সুন্দর?
খোঁপা
গ্রীষ্মই হোক কিংবা বর্ষায় হোক, যে কোনও পোশাকেই খোঁপা মানানসই। শাড়িই হোক কিংবা চুড়িদার কিংবা পশ্চিমি পোশাক, সঠিকভাবে খোঁপা বাঁধলে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। তবে সেই খোঁপা বাঁধারও কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। এছাড়াও কারও মুখে আলগা খোঁপা ভালো লাগে, কারও আবার একটু উঁচু করে বাঁধা খোঁপা। এক এক ধরনের পোশাকের সঙ্গে এক একটি মানানসই হয়ে থাকে। যেমন পুরো চুল দিয়ে খোঁপা করা যায়, আবার মাথার উপরিভাগের অর্ধেক চুল নিয়ে উঁচু করে খোঁপা বাঁধলেও পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে বেশ মানান সই হয়।
সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো চুলের ডগা ফাটা, রুক্ষ চুল খোঁপার আড়ালেই ঢাকা পড়ে যায়। চুল বাঁধা থাকলে ধুলো-ময়লা কমও লাগে। তবে কানের পাশে খোঁপা করুন কিংবা মাথার উপর, খোঁপা বাঁধার সময় চুল ভালো করে আঁচড়ে নিতে হবে। সিঁথি করলে তা যেনো নিখুঁত হয়। খোঁপা বাঁধার সময় চুল ফুলিয়ে নিলেও বেশ ভালো লাগবে।
পনি টেল
এই পদ্ধতি খুবই সহজ। সমস্ত চুল খুব ভালোকরে আঁচড়ে মাথার উপরে তুলে একটি রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে নিন। পনিটেল দেখতে আরও ভালো লাগবে যদি মাথার উপরের অংশের চুল কিছুটা ফুলিয়ে নেওয়া যায়। পিছন থেকে ঘোড়ার লেজের মতো লাগে বলে এই কেশসজ্জার এমন নাম দেওয়া হয়েছে।
সোজা চুল
চুল ছোটই হোক কিংবা বড়ই হোক, সোজা, মসৃণ চুল দেখতে ভালো লাগে। তাই চুল সোজা করার বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে ঘরে চুল সোজা করেও নিতে পারেন। বিয়েবাড়িই হোক কিংবা অফিস, যে কোনও অনুষ্ঠানে মানাবে ভালো। তবে বাড়িতে চুল সোজা করতে হলে তাপ নিরোধক স্প্রে কিংবা হেয়ার প্রোটেক্টরও ব্যবহার করা জরুরি। না হলে অতিরিক্ত তাপে চুলের বারোটা বাজতে খুব একটা দেরি হবে না। এই ধরনের স্প্রে ব্যবহারের কারণে চুলের উপর একটি পরত পড়ে যায়। যা বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্রবল তাপ থেকে সামান্য হলেও চুলকে সুরক্ষা দিতে পারে।
ঢেউখেলানো চুল
বাড়িতে হেয়ার স্ট্রেটনার কিংবা চুল সোজা করার যন্ত্র থাকলে তা দিয়েও ঢেউখেলানো চুল পাওয়া যেতে পারে। চুলের কিছুটা অংশ ভালোকরে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে, সেই অংশে হেয়ার স্ট্রেননার ব্যবহার করুন। চুলের উপর হতে অর্ধেকটা সোজাভাবে হেয়ার স্ট্রেটনার চালানোর পর, চুলের বাকি অংশটা স্ট্রেটনারের ধাতব পাতের মধ্যেদিয়ে এক বার পেঁচিয়ে নিতে হবে। তারপর এই প্যাঁচানো চুলের উপর দিয়ে স্ট্রেটনার চালাতে হবে। তাহলেই হালকা ঢেউখেলানো ভাব আসবে চুলের নীচের অংশে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org