দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে মালিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলো আড়াই বছরের পোষ্য বিড়াল যার নাম ‘রেয়ন বিউ’। তবে সেই বিড়াল দুই মাস পর ৯০০ মাইলের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে আবারও বাড়িতে ফিরেছে!
সিএনএনে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু কীভাবে এতো পথ পাড়ি দিয়ে বিড়ালটি বাড়ি ফিরলো- তা নিয়ে একটি প্রাণি কল্যাণ সংস্থা জানিয়েছে যে, বিড়ালটির শরীরে লাগানো মাইক্রোচিপের সাহায্যেই এটি সম্ভব হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায় যে, ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা সুসান আংভিয়ানো তার স্বামী বেনি আংভিয়ানো গত জুন মাসে সেই পার্কে বেড়াতে যান। ৪ জুন ভ্রমণের প্রথম দিন তারা সেখানকার ফিশিং ব্রিজ আরভি পার্কে ঘুরে বেড়ানোর সময় হঠাৎ কিছু দেখে চমকে গিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো তাদের বিড়াল রেয়ন বিউ।
সুসান সিএনএনকে বলেছেন, বিড়াল হারানোর পর আমরা যে কয়েকদিন সেখানে ছিলাম প্রতিদিনই সেখানকার বনে গিয়ে বেনি কয়েক ঘণ্টা ধরে রেয়ন বিউকে খুঁজে বের করার চেষ্টাও করেছেন। তবে শেষমেশ তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিড়ালকে ছাড়াই শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে হয়।
রেয়ন বিউকে হারানোর একমাস পরই এই দম্পতি আরও একটি বিড়াল দত্তক নেন। তারপর রেয়ন বিউ হারানোর ৬১ দিন পর তারা এক বার্তা পান। বার্তায় জানতে পারেন যে, রেয়ন বিউর পরিচয়শনাক্তকরণ নম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার রোজভিলে খুঁজে পাওয়া গেছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুসানদের বাড়ি হতে প্রায় ১৯০ মাইল দূরে বসবাস করা একজন নারী অসুস্থ অবস্থায় রেয়ন বিউকে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি রোজভিলে প্রাণীদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে সেটিকে হস্তান্তর করেছিলেন।
সিএনএন বলছে যে, বিড়ালটি ওয়াইমিং থেকে এক হাজারের বেশি মাইলের পথ পাড়ি দিয়ে কীভাবে রোজভিলে ও ক্যালিফোর্নিয়ার সালিনাসে বাড়ির দিকে ফিরলো তা অবশ্য জানা যায়নি।
তবে এই দম্পতি জানিয়েছেন, আমরা নিশ্চিত নই কীভাবে রেয়ন বিউ ক্যালিফোর্নিয়ায় এলো। তবে আমরা তাকে আবার পেয়ে সত্যিই কৃতজ্ঞ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org