দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নৈশভোজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ব্যাংককনিবাসী জনৈকা মহিলা অরম অরুণরোজ। তিনি রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে সব্জি কাটছিলেন। এমন সময় তিনি ঊরুতে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। কারণ কী? কারণ শরীর পেঁচিয়ে রয়েছে ১৬ ফুটের অজগর!
নৈশভোজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ব্যাংককনিবাসী জনৈকা মহিলা অরম অরুণরোজ। তিনি রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে সব্জি কাটছিলেন। এমন সময় তিনি ঊরুতে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। চিৎকার করে নীচের দিকে তাকাতেই শিউরে ওঠেন তিনি। দেখেন, তার পায়ে কামড় বসিয়েছে বিশালাকৃতি একটি অজগর। তাকে পেঁচিয়ে আস্তে আস্তে ঠিক শরীর বেয়ে উপরের দিকে উঠে আসছে! এর পরেই ভয়ে চিৎকার শুরু করেন অরম। প্রায় দু’ঘণ্টা পর তাকে এসে পুলিশ যখন উদ্ধার করে, তখন তিনি মৃতপ্রায় অবস্থা। দু’ঘণ্টা ধরেই তার শরীর পেঁচিয়ে রেখেছিল প্রায় ১৬ ফুটের ওই ভয়ঙ্কর অজগরটি!
এই খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর নেটমাধ্যমে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। তিনি সুস্থ হয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাও ভাগ করে নিয়েছেন। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম তাইরাথকে অরম বলেছেন, ‘‘আমি কাজ করছিলাম রান্নাঘরে। হঠাৎই যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠি। দেখি একটি অজগর আমাকে কামড়ে ধরেছে। আমাকে রীতিমতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। অজগরটির ওজন প্রায় ২০ কিলো ছিল।’’
অরম আরও জানিয়েছেন যে, কেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না দেখে তিনি নিজেই অজগরটির মাথা চেপে ধরেছিলেন। তবে সাপটিও প্যাঁচের জোর আরও বাড়াতে থাকে। রান্নাঘর থেকে আবারও প্রাণপণে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এক প্রতিবেশী তার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে খবর দেন পুলিশ ও বনবিভাগকে। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপের হাত থেকে অরমকে উদ্ধার করে। সব মিলিয়ে ওইদিন প্রায় দু’ঘণ্টা সাপের খপ্পরে ছিলেন তিনি।
স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তিনি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান তখন অরম প্রায় অর্ধমৃত। তার শরীর দরজার দিকে ঝুঁকে গিয়েছিল। তাকে ক্লান্ত ও ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। তারপর সাপের কবল থেকে মুক্ত করা হয় অরমকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org