দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার) (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এই ফল প্রকাশ করা হবে।
কিন্তু অন্যবারের মতো এবার সরকারপ্রধান কিংবা প্রধান উপদেষ্টা বা শিক্ষা উপদেষ্টা ফল ঘোষণা করবেন না। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না। এবার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা বেলা ১১টায় নিজ নিজ বোর্ডের ফল প্রকাশের ঘোষণা দিবেন।
তিনি আরও জানান, সকাল ১১টায় আমাদের এখান থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যানও দেওয়া হবে। এছাড়াও সব বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলও একযোগে সকাল ১১টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।
অন্যবারের মতো এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে। সেইসঙ্গে যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস করে তা জেনে নেয়া যাবে।
এই বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে যে, বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd) এবং বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) গিয়ে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম এন্ট্রির পর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল নামানো যাবে। এছাড়াও পরীক্ষার্থীরা রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করে ফল জানতে পারবেন। ফল প্রকাশের পর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও সেটি জানা যাবে।
এ বছর এসএমএসে ফল জানানোর প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগিয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ফল প্রকাশের আগেই শিক্ষার্থীরা প্রি-রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ, আগেই এসএমএস পাঠিয়ে রাখতে পারবেন। যে যত আগে এসএমএস পাঠাবেন, তিনি তত আগে ফলা’ফল পাবেন।
SMS-এর মাধ্যমে নিম্নোক্ত উপায়ে ফল সংগ্রহ করা যাবে:
HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ : HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে ফলাফল পৌঁছে যাবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও সরকার পতনের পরের ঘটনাপ্রবাহে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের ৭টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরে বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেগুলো নেওয়া হবে না বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়েছিলো ৯ জুলাই। এবারের এইচএসসিতে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org