দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানি খাঁটি ঘি নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজে সমৃদ্ধ। ঘি খেলে পেটের উপকার হয়, উপরন্তু নাভিতে কয়েক ফোঁটা ঘি দিলে হজম সংক্রান্ত সমস্যাও নাকি বশে থাকে!

গোসলের পূর্বে নাভিতে এক ফোঁটা তেল দেওয়ার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের- অনেকেই বিশেষ করে আগেকার মানুষরা এটি করতেন। নাভি হলো শরীরের কেন্দ্রবিন্দু। যার সঙ্গে গোটা শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের যোগও রয়েছে। তাই নাভিতে কয়েক ফোঁটা তেল দিলে মাথার চুল হতে পায়ের নখ- শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপরে তার প্রভাবও পড়ে। তবে অনেকের ধারণা, তেলের বদলে নাভিতে ঘি দিলে সেই কাজ আরও জোরদার হয়ে থাকে।
আমরা অনেকেই জানি খাঁটি ঘি নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজে সমৃদ্ধ। ঘি খেলে পেটের উপকার হয়, উপরন্তু নাভিতে কয়েক ফোঁটা ঘি দিলে হজম সংক্রান্ত সমস্যাও নাকি বশে থাকে! ঘি প্রদাহনাশক হিসাবেও কাজ করে থাকে। তাই শরীরে সেই সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই ঘিয়ের জুড়ি নেই। অনেকেই দাবি করেন যে, রাতে ঘুমানোর পূর্বে নাভিতে কয়েক ফোঁটা ঘি দিলে স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত হয়। যে কারণে সহজেই দু’চোখের পাতায় ঘুম নেমে আসে। গোসলের পূর্বে নিয়ম করে নাভিতে ঘি দিতে পারলে শুষ্ক ত্বক যেমন পেলব হবে, ঠিক তেমনি চুলও ঝলমল করে ওঠে।
কীভাবে নাভিতে ঘি মাখবেন?
# প্রথমেই নাভি ও সেই সংলগ্ন অঞ্চল ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুতে পারলে ভালো হয়।
# এরপর কয়েক ফোঁটা ঘি নাভিতে দিয়ে দিন। হালকা গরম করে নিলে ক্ষতি নেই।
# এরপর ঘি ত্বক শুষে নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্ততপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করলেই হবে। এরপর গোসল করে নিতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org