দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। হিজরি ক্যালেন্ডারে শাবানের পরই আসে রমজান মাসটি। এই মাসেই মুসলমানরা ফরজ রোজা পালন করেন। সেই হিসাবে আর মাত্র কয়েক মাস পরই রমজান শুরু হওয়ার কথা। সংযুক্ত আরব আমিরাত রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করলো।
ইতিমধ্যে রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি সোমবার (২৮ অক্টোবর) জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের ১ মার্চ দেশটিতে রমজান শুরু হতে পারে। এর আগে আকাশে দেখা যেতে পারে হিজরি রমজান মাসের চাঁদ। -খবর গালফ নিউজের।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, পবিত্র রমজান মাসের ক্ষণগণনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। চার মাস বাকি রয়েছে। এমন সময় রমজান মাস শুরু নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলো দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি।
দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি বলছে যে, হিজরি জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপরেই মূলত নির্ভর করছে রোজা শুরুর সময়। হিজরি পঞ্চম এই মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে আগামী ৩ নভেম্বর। এরপরই ধারণা করা যাবে, এবার রোজা কবে শুরু হচ্ছে।
দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান গালফ নিউজকে বলেছেন, রমজান শুরু কবে থেকে তা নির্ভর করছে মূলত চাঁদ দেখার ওপর। সম্ভবত আগামী বছরের ১ মার্চ সংযুক্ত আমিরাতে রমজান শুরু হতে পারে।
উল্লেখ্য, যদি আমিরাতে ১ মার্চ রমজান শুরু হয় তাহলে বাংলাদেশেও ২ মার্চ হতে রমজান শুরু হতে পারে। কারণ সৌদি আরবের পরের দিন সাধারণ বাংলাদেশে চাঁদ দেখা যায়। সেই মোতাবেক রমজান ও ঈদ হয়ে থাকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org