দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স এবার তাদের আসন্ন হট সিরিজের স্মার্টফোনে যুক্ত করছে টাইটানউইং আর্কিটেকচার ডিজাইন। এই আর্কিটেকচারের মাধ্যমে ইনফিনিক্স তাদের এ পর্যন্ত সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোনটি বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে।
ব্র্যান্ডটির এই স্মার্টফোনে ফ্ল্যাগশিপ পর্যায়ের পারফরম্যান্সও পাওয়া যাবে। সঙ্গে থাকবে স্থায়ী, টেকসই এবং চমৎকার ডিজাইন।
থ্রিডি কার্ভড টাইটানউইং আর্কিটেকচার দুটি উদ্ভাবনকে এক করেছে- ফেদারলাইট উইং ডিজাইন ও টাইটান আর্মার প্রোটেকশন। ফেদারলাইট ডিজাইন হালকা এবং স্লিম ডিজাইনের ওপরই গুরুত্ব দেয়। এই অত্যাধুনিক ডিজাইনে আরও রয়েছে একটি স্লিমএজ ফ্রেম, যার মাধ্যমে পাওয়া যাবে বিশ্বের সবথেকে স্লিম থ্রিডি কার্ভড স্ক্রিন, যার পুরুত্ব হবে মাত্র ৬.৮ মিলিমিটার।
স্মার্টফোনের বিভিন্ন পার্টসের পুনর্বিন্যাস করে, ব্যাটারির ঘনত্ব বাড়িয়ে ও উন্নত ফিচারের জন্য স্থান ব্যবহার করে এই উদ্ভাবনী ডিজাইন সম্ভব হয়। এই ডিজাইন ল্যাঙ্গুয়েজের কারণে হট ৫০ সিরিজের আসন্ন স্মার্টফোনটিকে শক্তিশালী পারফরম্যান্স বজায় রেখে স্লিম বানানো সম্ভব হয়। এই স্মার্টফোনটি দেখতে এবং ব্যবহারের আনন্দময়য় অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি দারুণ অনুভূতিও দেবে।
অপরদিকে, টাইটান আর্মার প্রোটেকশন এই স্লিম ডিজাইনের স্থায়িত্বের ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেয় না। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হলো TÜV ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেশন, যা নিশ্চিত করে যে, ডিভাইসটি ৬০ মাস (অর্থাৎ ৫ বছর) পর্যন্ত সেরা পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য অভিজ্ঞতাও বজায় রাখবে।
স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে আইপি৫৪ ডাস্ট ও স্প্ল্যাশ রেজিস্ট্যান্স এবং কর্নিং গরিলা গ্লাস, যা এই স্মার্টফোনটিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য টেকসই করে তুলবে। ব্যবহারকারীর হাত থেকে হঠাৎ করে ফোন পড়ে যাওয়া কিংবা কঠিন পরিবেশের মধ্যে পড়লেও টাইটান আর্মার প্রোটেকশন এই স্মার্টফোনটিকে একইভাবে শক্তিশালী এবং স্টাইলিশ রাখে।
এই প্রোটেকশন স্যুট স্মার্টফোনের স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এটি ব্যবহারকারীদের স্বাভাবিক এবং কঠিন দুই পরিস্থিতিতেই টিকে থাকার মতো একটি স্টাইলিশ ডিভাইসের আত্মবিশ্বাসও দেবে।
ইনফিনিক্সের এই স্লিমেস্ট স্মার্টফোনটি টাইটানউইং আর্কিটেকচারের মাধ্যমে টেকসই এবং স্লিমনেসের একটি নিখুঁত ভারসাম্য রক্ষা করবে। এই স্মার্টফোনটিতে উন্নত উপকরণ, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং ফিউচারিস্টিক ডিজাইনের দারুণ একটি সমন্বয়ও করা হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org