দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা নিয়ে মিডরেঞ্জের সেরা পারফর্মিং স্মার্টফোন অনার এক্স৭সি বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
অনার এক্স৭সি ডিভাইসটিতে দুর্দান্ত ব্যাটারি লাইফ নিশ্চিত করতে শক্তিশালী ৬,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার সুপার ডিউরেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।
উচ্চমান-সম্পন্ন এই ব্যাটারির কারণে এখন ২৮.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অনলাইন স্ট্রিমিং এবং ২১.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ইউটিউবে ভিডিও গান শোনা যাবে; অর্থাৎ, সারাদিন নিরবচ্ছিন্নভাবে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ব্যাটারি লাইফ যখন একদম কম থাকবে তখনও অনার আলট্রা পাওয়ার-সেভিংস মোডের কারণে ডিভাইসটি সমানতালে ব্যবহার করা যাবে। এই স্মার্টফোনে মাত্র ২ শতাংশ চার্জ থাকলেও ৫৫ মিনিট টানা কথা বলা যাবে। হ্যান্ডসেটটির ৩৫ ওয়াট অনার সুপারচার্জ প্রযুক্তির কারণে এখন চার্জিং নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন ব্যবহারকারী; এর টাইপ-সি ওয়্যারড চার্জিং ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম।
ব্যবহারকারীর সব ধরনের প্রয়োজন পূরণে ও স্মৃতিময় মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখতে অনার এক্স৭সি’তে ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে র্যাম টার্বো টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে, মাল্টিটাস্কিং ও অ্যাপ সুইচের মতো কাজ করার ক্ষেত্রে ১৬ জিবির (৮ জিবি ফিজিক্যাল ও ৮ জিবি ভার্চুয়াল) মতো অভিজ্ঞতা পাবেন ব্যবহারকারী।
মোবাইল ফটোগ্রাফিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে অনার এক্স৭সি’তে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে নিখুঁতভাবে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখার উপযোগী করে এই সর্বাধুনিক সেটআপ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ক্যামেরা সিস্টেমের মূলে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, যা বিস্তৃত পরিসরে অনন্য মান নিশ্চিত করে।
অনবদ্য এই স্মার্টফোনে ৬.৭৭ ইঞ্চির এইচডি+ ১২০ হার্জের ডিসপ্লে, ৮ জিবি র্যাম ও স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। দেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে ডিভাইসটির স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও রাখা হয়েছে ৯০.৭৬ শতাংশ। নিখুঁত ও প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল নিশ্চিতে এই স্মার্টফোনের ডিসপ্লে ১৬.৭ মিলিয়ন রঙ এবং ১৬১০X৭২০ রেজ্যুলুশন পর্যন্ত সমর্থন করে। ফোন স্ক্রল করা এবং অ্যাপ চালানোর ক্ষেত্রে স্মুথ অনুভূতি নিশ্চিত করতে ডিসপ্লেতে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ব্যবহার করা হয়েছে। অনেকক্ষণ ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে ও ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে এতে টিইউভি রাইনল্যান্ড লো ব্লু লাইট সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করা হয়েছে।
মাত্র ২২,৯৯৯ টাকার সাশ্রয়ী মূল্যে, মিডনাইট ব্ল্যাক ও ফরেস্ট গ্রিন – এই দু’টি রঙে পাওয়া যাচ্ছে অনার এক্স৭সি। তাহলে আর দেরি কেন! এখনই কিনে ফেলুন বাজারের সেরা পারফরম্যান্সের এই স্মার্টফোন অনার এক্স৭সি সেটটি।
# খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org