দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥“নন্দিনী’ সিনেমার মুক্তি কী অনিশ্চিত? এই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই এটি মুক্তির কথা শোনা গেলেও তা পিছিয়ে যায়। এই চলচ্চিত্রটি এ বছরের ২ আগস্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবার কথা থাকলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে স্থগিত করা হয়। নতুন কোনো তারিখ এখনও দেওয়া হয়নি।
পরিতোষ বাড়ৈর উপন্যাস ‘নরক নন্দিনী’ অবলম্বনে নির্মিত “নন্দিনী’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সোয়াইবুর রহমান ও চিত্রনাট্য লিখেছেন তামজীদ রহমান।
নয়নতারা লিমিটেডের ব্যানারে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং বাংলাদেশের নাজিরা মৌ। পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, ইরেশ যাকের, মুনিরা ইউসুফ মেমী, জয়শ্রী কর জয়া ও ইলোরা গহর।
নন্দিনী চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালকের পরিচালনায় ও টেলিভিশন অভিনেত্রী নাজিরা মৌ চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।
এই সিনেমায় যারা অভিনয় করেছেন তারা হলেন- ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, নাজিরা মৌ, ফজলুর রহমান বাবু, ইরেশ যাকের, মুনিরা ইউসুফ মেমী, জয়শ্রী কর জয়া, ইলোরা গহর প্রমুখ।
নির্মাণ
২০১৯ সালে সিনেমাটির শুটিং করা হয়। ওই সময় বেশ কয়েকবার শুটিং হয়েও শিডিউলসহ বেশ কিছু জটিলতায় শুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এরপর শুরু হয় করোনা। তারপর এর মধ্যেই সিনেমাটির বাকি কাজ শেষও হয়। এরপর সিনেমাটির পোস্টের কাজ শেষ করে মুক্তির প্রক্রিয়ায় এগোতে থাকেন নির্মাতা। গত বছর সিনেমাটি সেন্সর পেলেও পরবর্তী সময় নির্বাচন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যায় সিনেমাটি। এই চলচ্চিত্রটি ২০২৪ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবার কথা থাকলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে সেটি স্থগিত করা হয়। নতুন তারিখ সম্পর্কেও কিছুই জানা যায়নি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org