ওজন কমাতে কোনটি বেশি উপকারী জগিং নাকি সাইকেল চালানো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বলেছেন, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, জগিং, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার ওজন কমানোর জন্য হলো আদর্শ ব্যায়াম। এখন কথা হলো, খুব তাড়াতাড়ি যদি মেদ কমাতে হয় তাহলে কোন ব্যায়ামটি বেশি উপকারী?

ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বলেছেন, হাঁটাহাঁটি, দৌড়নো, জগিং, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার ওজন কমানোর জন্য হলো আদর্শ ব্যায়াম। এখন কথা হলো, খুব তাড়াতাড়ি যদি মেদ কমাতে হয় তাহলে জগিং করা ভাল নাকি সাইকেল চালানো?

এই বিষয়ে দিল্লির সিকে বিড়লা হাসপাতালের ফিজিয়োথেরাপি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সুরেন্দ্র পাল সিং সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জগিং এবং সাইকেল চালানো দু’টিই ভালো ব্যায়াম, তবে কারা কোনটি করবেন সেটি তাদের শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। যদি হার্টের অবস্থা ভালো হয়, বাতের ব্যথাবেদনা না থাকে, তাহলে নিশ্চিন্তে জগিং করা যাবে। ৭০ কেজি ওজনের একজন পুরুষ কিংবা মহিলা যদি ৩০ মিনিট জগিং করেন, তাহলে কম করে হলেও ৪০০ ক্যালোরি পুড়বে। যদি কখনও হাঁটুতে ব্যথা থাকে, আর্থ্রাইটিস ভোগায় তাহলে সেইক্ষেত্রে সাইকেল চালানোই ভালো। ৩০ মিনিট সাইকেল চালালে ৩০০ ক্যালোরি ক্ষয় হবে।

Related Post

চিকিৎসকের ভাষায়, জগিং করলে হার্ট ভালো থাকে, হজমশক্তিও উন্নত হয়। ভোরের দিকে যদি কেও জগিং করেন, তাহলে তার ফুসফুসের শক্তি আরও বাড়বে। মেদও ঝরবে, অন্যান্য অসুখবিসুখের ঝুঁকিও কমে আসবে। যদি বাইরের পরিবেশে জগিং করতে না পারেন, তাহলে ঘরে স্পট জগিংও করা যেতে পারে। সেটিও যথেষ্ট উপকারী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সারাদিনের কাজের চাপ, মানসিক উদ্বেগ সবটাই নিমেষে হাওয়া হয়ে যেতে পারে নিয়মিত জগিং করার কারণে। মানসিক স্বাস্থ্যকে তরতাজা রাখতেও সাহায্য করে এই জগিং। কার্ডিয়োভাস্কুলার ব্যায়ামগুলোর মধ্যে জগিং-এর উপকারিতা অনেক বেশি। তবে শরীর বুঝে এটি করতে হবে। আর হার্টের সমস্যা দেখা দিলে, রক্তচাপ বেশি থাকলে কিংবা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ভোগালে, তখন জগিং না করে বরং সাইকেল চালালেই ভালো হবে।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, সাইকেল চালালেও ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়। তবে জগিং-এর চেয়ে অনেক ধীর গতিতে হয়। জগিং করার অসুবিধা থাকলে তখন সাইকেল চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তা না হলে দ্রুত মেদ কমাতে হলে জগিংই সবচেয়ে ভালো উপায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ 3:21 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

চার সিনেমা মাতাবে এবারের ঈদুল ফিতর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ এলেই সিনেমা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়। রমজান শুরুর সঙ্গে…

% দিন আগে

পাকিস্তানিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষিদ্ধ হতে পারেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে জানিয়েছে…

% দিন আগে

মায়ের লেজ ধরেই সারি বেঁধে ‘বনের রানি’র পিছু নিল সিংহশাবকরা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাফারি করতে বেরিয়ে মাঝজঙ্গলেই দাঁড়িয়ে পড়েছে পর্যটকদের কয়েকটি গাড়ি। কারণ…

% দিন আগে

নীল আকাশ ও পানি মিলে মিশে একাকার

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১…

% দিন আগে

ঝগড়া-অশান্তি নাকি ব্রেকআপ?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি বিষয় হচ্ছে ব্রেকআপ কখনওই ‘মিউচুয়াল’ হয় না। অর্থাৎ, দু’জনের…

% দিন আগে

অনার বাংলাদেশ আকর্ষণীয় ঈদ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসন্ন ঈদুল ফিতরের আনন্দ উদযাপনকে আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করতে এক…

% দিন আগে