দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও সেনা শাসনের বিরুদ্ধে ফুসে উঠছে মিশর। গত কয়েকদিনে সহিংসতায় বেশ কয়েক জন নিহত হয়েছে।
মিশরের রাজধানী কায়রোসহ বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সমর্থকরা সেনা-সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আবারো বিক্ষোভে ফেটে পড়লে অন্তত ৫ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে।
মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মীরা এদিন কায়রোয় নিরাপত্তা বাহিনীকে উপেক্ষা করে তাহরির স্কোয়ারে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী গাড়ি থেকে তাদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলি ছোঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ব্রাদারহুডের এক সমর্থক নিহত হয়। বাকিরা দক্ষিণাঞ্চলীয় আসুয়িত শহরে গুলিতে মারা যায় বলে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
আল জাজিরার সংবাদদাতার উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম বলেছে, ওইদিন আন্দোলনকারীদের দমাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তবে সরকার কোনো বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়া ও নীল ডেল্টায়ও সেনাশাসন বিরোধী মিছিল শুরুর পর মুরসি সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এসময় সেনাপ্রধান আবদেল-ফাতাহ-এল-সিসিকে ‘খুনি’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তার পতনের দাবি করে। সংঘর্ষ চলাকালে মুরসি বিরোধীরা ব্রাদারহুড কর্মীদের পাথর ছুঁড়তে থাকে, ব্রাদারহুড কর্মীরাও পাল্টা জবাব দেয়। পুলিশ বেশ কয়েকটি স্থানে তাজা গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতা গ্রহণের একবছরের মাথায় সৃষ্ট এক জনরোষের মুখে গত ৩ জুলাই সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন মিসরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। এরপর থেকে শুরু হয় সেনাবাহিনী সাথে মুরসি সমর্থকদের যুদ্ধ। ইতিমধ্যে গত ৩ মাসে সহিংসতায় এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।