দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলার বাঘিনীরা। ইতোমধ্যে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। সারা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
এই বিশ্বকাপের টান টান উত্তেজনাময় একটি মুহূর্তও যেনো ভক্তরা মিস না করে, সেইজন্য দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম টফি বিনামূল্যে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ সম্প্রচার (স্ট্রিমিং) করছে।
১৮ জানুয়ারী ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টটি আগামী ২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে এবং সকল ম্যাচ টফিতে (এক্সক্লুসিভলি) সম্প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিনিয়র দলের ঝুঁলিতে ইতোমধ্যেই অনেক সাফল্য যুক্ত হয়েছে। এবার আগামী দিনের চ্যাম্পিয়নদের (অনূর্ধ্ব-১৯ দল) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করার পালা। এই বিশ্বকাপ ভবিষ্যতের তারকা ক্রিকেটারদের অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখার সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। দেশবাসীর জন্য সকল ম্যাচ বিনামূল্যে স্ট্রিমিং করবে টফি।
এই বিষয়ে বাংলালিংকের চীফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বিশ্বমানের বিনোদন সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। বাংলাদেশের বাঘিনীরা এগিয়ে যাচ্ছে; তাদের এই অগ্রযাত্রার সহযোগী হতে আমরা আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করবো। ক্রিকেট ফ্যানরা টফিতে বিনামূল্যে ম্যাচ দেখতে পারবেন। এই উদ্যোগ ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। সারা দেশের ভক্তরা যেন এই উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে পারে এজন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের বাঘিনীদের এই বিশ্বকাপ যাত্রায় উৎসাহ প্রদান করি। আমাদের বাঘিনীদের জন্য শুভকামনা।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org