দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ব্রিটিশ হাইকমিশনের উদ্যোগে অ্যালামনাই ইউকে গালা নাইটের আয়োজন করা হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঢাকা অফিসে উল্লেখযোগ্য এ অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
এতে ১৭০ জনেরও বেশি যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাই ও বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের সাফল্য এবং বাংলাদেশ-ইউকে অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের (বুকান) গ্লোবাল অ্যালামনাই ইউকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিবর্তন কে উদযাপন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানটি যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের প্রতিফলন , যা অর্জিত হয়েছে শিক্ষাগত এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বৈশ্বিক উন্নয়নে পারস্পরিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার। এই আয়োজনে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত ব্যবসা, উদ্ভাবন, সংস্কৃতি ও টেকসই উন্নয়নের মতো বিভিন্ন খাতে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের অবদান এবং তুলে ধরা হয়।
আয়োজনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের মিনিস্টার-কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান) গ্যাভিন টেঞ্চ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত অ্যালামনাই প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান, পিএইচডি।
এই সময় ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, “যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের যুক্ত হওয়ার আজকের এই বড় পরিসরের অনুষ্ঠান বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। জাতীয় সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের অসামান্য অবদানকে উদযাপন করতে আজ আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। যোগাযোগ, প্রবৃদ্ধি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক আমাদের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদী আমরা।”
আয়োজনে স্বনামধন্য অ্যালামনাইদের অনুপ্রেরণার গল্প তুলে ধরা হয়, বিভিন্ন খাতে তাদের অসামান্য অবদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এসময় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঙ্গীতা আহমেদ। এআই-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ সবার সামনে তুলে ধরেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) অধ্যাপক খন্দকার এ মামুন, পিএইচডি। এছাড়াও, নিজের পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘ট্রানজিট’ দেখিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন পরিচালক আরিক আনাম খান। আয়োজনে এসব উপস্থাপনা যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের বিস্তৃত সাফল্য ও সমাজে তাদের ইতিবাচক প্রভাবকে তুলে ধরে।
অ্যালামনাই ইউকে গালা নাইটের এই আয়োজনে, গ্লোবাল অ্যালামনাই ইউকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের অংশ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করে বুকান (বাংলাদেশ-ইউকে অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক)। ২০২২ এর নভেম্বরে চালুর পর থেকে প্ল্যাটফর্মটি ৩৪টি দেশের ইউকে অ্যালামনাইদের যুক্ত করেছে এবং পেশাগত উন্নয়ন, নেটওয়ার্কিং ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। সক্রিয় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করা, অ্যালামনাইদের নতুন দক্ষতায় সক্ষম করে তোলা এবং বৈশ্বিক বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোকে জোরদার করা এই প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য।
ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ব্রিটিশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের সবসময় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অ্যালামনাইদের সংযুক্ত হতে, নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনার উদ্যোগে সহযোগিতা করতে অ্যালামনাই ইউকে প্ল্যাটফর্ম তাদের কার্যক্রম চালু রাখবে।এরপর, দুই দেশের মধ্যে জোরালো সাংস্কৃতিক বন্ধনের অংশ হিসেবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মাশা ইসলাম। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org