দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাস পর গতকাল শনিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) খুলে দেওয়া হলো গাজার লাইফ লাইন হিসেবে খ্যাত মিশরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং। অবরুদ্ধ অঞ্চলটির অসুস্থ এবং আহত ফিলিস্তিনি রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যে কারণে খুব সহজেই মিসরে যেতে পারবেন ফিলিস্তিনিরা। মিসরীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, একটি ফিলিস্তিনি রেডক্রস অ্যাম্বুলেন্স ক্রসিং গেটের দিকেই এগিয়ে আসছে। তাছাড়াও বেশ কয়েকজন শিশুকে স্ট্রেচারে বের করে মিসরের দিকের অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তর করা হচ্ছে। -খবর আলজাজিরা।
রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করা একটি গুরত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি এই মাসের শুরুতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে আরও জোরদার করবে বলেও মনে করা হচ্ছে। গাজায় হামাসের হাতে থাকা শেষ জীবিত নারী বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পরই ইসরায়েল ক্রসিং পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়। শনিবারের শুরুতে হামাস গাজায় তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় ও ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। রাফাহ ক্রসিং পয়েন্ট হলো মিসর ও গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পারাপার পয়েন্ট।
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরাইলের বর্বর হামলায় গাজা এক ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে।
১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org