দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বীমা সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রবি’র সঙ্গে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্পোরেট বীমা সুবিধা প্রদানকারী দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
এই চুক্তির আওতায় রবি ও এর আওতাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১,৪৫০ জনেরও বেশি কর্মী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলরা গার্ডিয়ান লাইফ- এর বীমা সুবিধা পাবেন।
এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখন থেকে রবি, রেডডট ডিজিটাল লিমিটেড, অ্যাকজেনটেক পিএলসি এবং আর ভেঞ্চারসের কর্মী ও তাদের পরিবার গার্ডিয়ান লাইফের গ্রুপ বীমা সুবিধার আওতায় আসবেন।
অনুষ্ঠানে গার্ডিয়ান লাইফের ডিরেক্টর সৈয়দ আক্তার হাসান উদ্দিন; এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ; রবি’র চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মারুফুল আলম চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কর্মীদের জন্য একটি সহায়ক এবং নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার ব্যাপারে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন উপস্থিত অতিথিরা।
একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত কর্মীদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। রবি সবসময়ই তাদের কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। গার্ডিয়ান লাইফের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রবি তাদের কর্মীদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিন্তে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড –এর সেবা ও অন্যান্য পলিসির সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন – http://www.guardianlife.com.bd।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org