দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ আমেরিকার একজন খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পী যাকে বলা হয় পপ সম্রাজ্ঞী তিনি হলেন ম্যাডোনা। তাকে ঘিরে থাকা বিশ্বজোড়া ভক্তের দল ও ঝিকিমিকি আলোর মঞ্চ, মিডিয়ার উন্মাদনা এসবের বাইরেও তার আছে কঠিন অতীত। বিশ্বখ্যাত এই পপ সম্রাজ্ঞীর অতীত নিয়ে সমগ্র বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি এক প্রবন্ধে জানান, তরুণী বয়সে ছুরির মুখে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ‘হারপার’স বাজার’ নামে একটি পত্রিকার নভেম্বর সংস্করণের জন্য সম্প্রতি একটি আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধে তার জীবনের দুঃসহ ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী ম্যাডোনা ভক্তদের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। যে কারণে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন এই পপ সম্রাজ্ঞী।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন, সেক্স, সংগীত ক্যারিয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি সেই প্রবন্ধে। তিনি জানান – তার ভাবনার মত নিউ ইয়র্ক ছিলো না এবং এই শহর তাকে দুই বাহু তুলে স্বাগত জানায়নি। বন্দুকের মুখে দাঁড় করানো হয়েছিলো এবং তাকে একটি বিল্ডিং এর ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি তার পিঠে ছুরি বসিয়ে দেয়া হয়েছিলো। তার অ্যাপার্টমেন্ট তিনবার ভেঙে ফেলা হয়েছিলো এবং সে জানত না কেন। যখন তার রেডিওটা নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার কাছে এর দামি কিছুই ছিলো না।
তবে এত সব কিছুর পরেও বেঁচে থাকা থেকে সরে আসেননি ম্যাডোনা, সংগ্রাম করেছেন প্রচুর জীবনে, জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতালব্ধ ঘটনাগুলো তাকে শিখিয়েছে কীভাবে টিকে থাকতে হয়। প্রবন্ধে তার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও উল্লেখ করেন। বিয়ের প্রায় এক দশক পরে স্বামী গাই রিচির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে চার সন্তানের মা ম্যাডোনার এবং এরপর থেকেই নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করছেন তিনি। তিনি জানান – তার সন্তানদের শিক্ষা দেন ঘরে বাইরে বের হতে, সাহসী হতে এবং জীবনযুদ্ধে সঠিক কাজটা করতে।
যদিও তার জীবনে এই দূর্ঘটনার কথা এই প্রথম তিনি মিডিয়ায় বলেননি, এর পূর্বে ১৯৯৫ সালে নিউ মিউজিকাল এক্সপ্রেসের একটি সাক্ষাৎকারে মিউজিক ক্যারিয়ারের শুরুতে তার ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। সেই দুঃসহনীয় ঘটনাই তাকে বদলে দেয় এবং তাকে কঠিন হতে শিক্ষা দিয়েছে এবং সেই শিক্ষাই তাকে অফুরান বেঁচে থাকার স্ফূর্তি দিয়েছে। সেই ব্রিটিশ ম্যাগাজিনে এইভাবেই তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তিনি।
নিজের লেখা ওই প্রবন্ধে ক্যারিয়ার, প্রেম, বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তানদের কথা, নিউইয়র্কের সংগ্রামী দিনের কথা সাবলীল ভাবেই প্রকাশ করেছেন ম্যাডোনা এবং সাথে প্রকাশ করেছেন ক্যামেরার বাইরে, সবার চোখের আড়ালের এক অন্য মানুষের খবর।
তথ্যসূত্রঃ হাফিংটন পোস্ট