দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিউআর কোডের মাধ্যমে প্রতারণা দিন দিন যেনো বেড়েই চলেছে। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের কলকাতা শহরের পার্ক সার্কাসের একটি রেস্টুরেন্টে। কিউআর কোডের মাধ্যমে প্রতারণার করে ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে রেস্টুরেন্টের দুইজন কর্মী!
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার এবং এক পরিচারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছেন প্রসেনজিৎ মাইতি (পরিচারক) এবং শেখ গোলাম নবি আজাদ (ক্যাশিয়ার)।
কয়েক মাস পূর্বেই প্রসেনজিৎ এই রেস্টুরেন্টে কাজ শুরু করেন। গোলাম নবি দীর্ঘদিন ধরে এই রেস্টুরেন্টটিতে ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন।
তদন্তে জানা যায়, তাদের মূলত টার্গেট ছিলো অনলাইন পেমেন্টকারী গ্রাহকদের। ক্রেতারা খাবারের বিল দেওয়ার জন্য কিউআর কোড স্ক্যান করলেই, সেই টাকা রেস্টুরেন্টের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে না গিয়ে ক্যাশিয়ারের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে চলে যেতো।
পরিচারক প্রসেনজিৎ প্রথমেই বিল সংগ্রহ করতো ও অনলাইন পেমেন্টের অনুরোধ পেলে ক্যাশিয়ারের কাছে যেতো। ক্যাশিয়ার গোলাম নবি নিজের ব্যক্তিগত কিউআর কোড স্ক্যান করার জন্য প্রসেনজিতের মাধ্যমেই গ্রাহকদের নিজের কাছে নিয়ে আসতেন। এই কৌশলে বিগত কয়েক মাস ধরে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি আর্থিক বছরের শেষে হিসাব মেলাতে গিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিকরা দেখেন যে, আয়ের হিসাবে বিশাল একটা গরমিল। সন্দেহ হওয়ায় ক্যাশিয়ারকে জেরা করা হলে প্রথমে সে বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এবং শারীরিক হেনস্থার পর সে স্বীকার করে নেয় এবং এই ঘটনার সবকিছুই প্রকাশ করেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org