দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে, আধা চা চামচের মতো অলিভ অয়েল কেও যদি প্রতিদিন খেতে পারেন, তাহলে তার স্মতিশক্তি আরও উন্নত হবে!

স্মৃতিশক্তি সকলের ক্ষেত্রেই সমান নয়। কারও স্মৃতিশক্তি জোরালো, আবার কারও দুর্বল। কারও ভুলে যাওয়ার সমস্যা সাময়িক হয়ে থাকে, কারও আবার স্মৃতির পাতাই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। আসলে মস্তিষ্ক বড়ই জটিল, ততোটাই জটিল তার কর্মক্ষমতাও। তাই রাতারাতি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পন্থা বাতলে দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে, আধা চা চামচের মতো অলিভ অয়েল কেও যদি প্রতিদিন খেতে পারেন, তাহলে তার স্মতিশক্তি আরও উন্নত হবে।
বাঙালিরা সর্ষের তেল কিংবা সাদা তেল (সোয়াবিন) রান্না করতেই অভ্যস্ত। তবে স্বাস্থ্য সচেতনেরা ইদানীংকালে অলিভ অয়েল ব্যবহারও করছেন অনেকেই। বাঙালির হেঁশেলেও এখন প্রবেশ ঘটেছে অলিভ অয়েলের। কম আঁচে যে কোনও কিছু রান্নার জন্য এই তেল বেশ উপযোগী। হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অলিভ অয়েলে থাকে হাইড্রক্সিটাইরোসল যা স্নায়ু রোগের ঝুঁকিও কমায়। এর পলিফেনল বার্ধক্যজনিত জটিল রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে বয়সকালে স্মৃতি দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেকটা কমাতে পারে এই তেল- এমন দাবিই করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৯২ হাজারের বেশি মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন যে, যারা নিয়মিতভাবে আধা চা চামচের মতো অলিভ অয়েল খেয়েছেন, তাদের স্মৃতিনাশের ঝুঁকি ২৮ শতাংশ কমে গেছে। গবেষকদের দাবি, সবচেয়ে উচ্চ মানের অলিভ অয়েল হলো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। স্যালাড ড্রেসিং হিসেবে এই অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিনকার দেশীয় রান্না বা কন্টিনেন্টাল রান্না, যে কোনও রকম পদই তৈরি করতে পারেন এই তেলে। তবে পরিমাণ অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ আধা চামচের আশপাশে। যে কোনও তেলই বেশি খেয়ে ফেললে তা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হবে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যেই লেখা। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা একটি সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সকলের জন্য তা উপযোগী নাও হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু খাওয়া মোটেও ঠিক না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org