দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কান উৎসব ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে বাজিমাত করা ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর অস্কার সম্ভাবনাও ছিল বেশ। পায় সর্বোচ্চ ১৩টি মনোনয়ন। রেকর্ডসংখ্যক অস্কার মনোনয়ন পাওয়ার পরও, এমিলিয়া পেরেজ দ্রুতই বিতর্কের ঘূর্ণাবর্তে পড়ে যায়।
সিনেমাটির অভিনেত্রী কার্লা সোফিয়ার পুরোনো টুইটের সূত্র ধরেই তা ম্লানও হয়। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বেশ কিছুদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে হলিউড পাড়ায় চলছে বেশ বিতর্ক। তবে বিষয়টি নিয়ে মোটেও আক্ষেপ করছেন না এই সিনেমার অন্যতম অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ।
এ সম্পর্কে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেলেনা বলেছেন, ‘কিছু জাদু একেবারে উধাও হয়ে গেছে। তবে সিনেমাটি করতে পেরে আমি গর্বিত এবং কৃতজ্ঞ। আমি কোনো রকম আক্ষেপ নিয়ে জীবনধারণ করি না। আমি সব সময়ই আশাবাদী একজন শিল্পী। আমার শিল্পকর্ম নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখতে খুব ভালোবাসি।’
এদিকে বিভিন্ন সময় মুসলিম, জর্জ ফ্লয়েড এমনকি অস্কার নিয়েও নেতিবাচক টুইট করেন কার্লা সোফিয়া। সেইসব মন্তব্যই সামনে এসেছে আবারও। সেলেনাকেও কটাক্ষ করে ‘ধনী ইঁদুর’ বলেন এই অভিনেত্রী। তবে সেইসব নিয়ে মনে কষ্ট রাখতে চান না সেলেনা গোমেজ।
নিজের অভিনয়ের ক্যারিয়ার এবং সহশিল্পীর কটু মন্তব্য সম্পর্কে সেলেনা বলেছেন, ‘আমার কাছে কাজই হচ্ছে প্রার্থনার মতো। সহশিল্পীর সমালোচনা আমাকে আমার কাজ থেকে পৃথক করতে পারবে না। শুটিং সেটে খুব সুন্দর সময় কেটেছিল তারসঙ্গে। নির্মাতা জ্যাক অদিয়াকেও ধন্যবাদ- তিনি আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন, সেজন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমি যে অভিনয়ে আরও অনেক কিছু করতে পারি- অনেক দূর যেতে পারি, সেটি দেখানোর একটা সুযোগ পেলাম। আশা করছি যে, অভিনয়ে নিজেকে পূর্ণাঙ্গভাবে মেলে ধরার সূচনা হলো আমার।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org