দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন যে, ইরানকে হুমকি দিয়ে আলোচনায় বসানো যাবে না। তিনি শনিবার ইফতারের পূর্বে সরকারের তিন বিভাগের প্রধানসহ পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে ভাষণে এইসব কথা বলেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একই মন্তব্য করেছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, কিছু দাম্ভিক সরকার আলোচনায় বসার জন্য যেভাবে চাপাচাপি করছে তাদের উদ্দেশ্য সমস্যার সমাধান করা নয়; বরং তারা তাদের নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আলোচনায় বসতে চায়।
তিনি আরও বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে বলা যায়, ইরান তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে দেবে না।’ তিনি ভাষণের অন্য অংশে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্লজ্জভাবে অভিযোগ উত্থাপন করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে, ইরান তার পরমাণু প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করেনি বলে তারা যে দাবি করছে তা সম্পূর্ণই অযৌক্তিক।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘তারা বলে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না। তাহলে তারা কী তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে? তারা তো শুরু হতেই তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।’
অপরদিকে কাতার জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু অস্ত্রে হামলা হলে সেটি আঞ্চলিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন জাসিম আলে সানি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, আমেরিকা কিংবা ইসরাইল যদি ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায় তাহলে মাত্র ৩ দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়বে।
তিনি মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেছেন, হামলা হলে পানিতে এতো উচ্চ মাত্রার দূষণ হবে যে, যে কারণে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেবে। তথ্যসূত্র: পার্স টুডে ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org