দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলন্ত ট্রেন হতে এক যাত্রীর হাত ধরে বাইরে ঝুলে আছেন এক তরুণ। বেশ কিছুক্ষণ এমন বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখা যায় ওই তরুণকে। এরপর ট্রেনটি থামলে টাল সামলাতে না পেরে রেললাইনের ধারে পড়ে যায় ওই তরুণ।

দুরন্ত গতিতে ট্রেন ছুটে চলেছে। সেই চলন্ত ট্রেনের এক যাত্রীর হাত ধরে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছেন এক তরুণ। অন্য যাত্রীরা তার এমন কাণ্ড দেখে ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েছেন। যে কোনও মুহূর্তে ছিটকে নীচেও পড়ে যেতে পারেন তিনি। হঠাৎ ট্রেনটি থেমে গেলো। ট্রেনটি থামার সঙ্গে সঙ্গেই টাল সামলাতে পারেননি তরুণ। যাত্রীর হাত ছেড়ে রেললাইনের ধারে পড়ে গেছেন তিনি। তার পর আবার জামাকাপড় থেকে ধুলো ঝেড়ে ট্রেনে উঠে পড়লেন ওই তরুণ। নেটমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
‘ঘর কে কলেশ’ নামে অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স হ্যান্ডেলের পাতায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশে ঘটলেও তার দিনক্ষণ অবশ্য জানা যায়নি। তবে ট্রেনটি কাসগঞ্জ থেকে কানপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। চলন্ত ট্রেন থেকে তরুণের বিপজ্জনকভাবে ঝুলে থাকার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন ওই ট্রেনের অপর এক যাত্রী। ট্রেনটি হঠাৎ করে থেমে পড়ায় অনেকেই দাবি করেছেন, তরুণের ‘স্টান্ট’ দেখে ট্রেনের কোনও যাত্রী হয়তো চেন টানতে পারেন। সে কারণে ট্রেনটি হঠাৎ থেমে যায়। আচমকা ট্রেন থেমে যাওয়ার কারণে যাত্রীর হাত ছেড়ে রেললাইনের ধারে ছিটকে পড়ে যান ওই তরুণ। এরপর জামাকাপড় থেকে ধুলো ঝেড়ে ট্রেনে উঠে পড়েন। ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রেলপুলিশের নজর কাড়ে। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করবে বলে আশ্বাস দেয় পুলিশ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org