দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী মালালাকে আবারও হত্যার হুমকি দিয়েছে তালেবানরা।
তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর মুখপাত্র শহিদুল্লাহ শহিদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে এসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় এনডিটিভি।
গতবছর এই দিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর তালেবান বন্দুকধারীরা মালালা ইউসুফজাইকে হত্যার জন্য তার স্কুল বাসে হামলা চালায়। এ সময় মালালা মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে প্রথমে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে বৃটেনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর বিশ্ব জুড়ে শুরু হয় চরম সমালোচনা। মালালার মতো এমন এক বয়সী একজন স্কুল ছাত্রীকে হামলা চালানোর জন্য বিশ্বজুড়ে ধিক্কার পড়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে মালালা একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত হতে থাকেন। ইতিমধ্যে মালালা সুস্থ্য হয়ে বৃটেনেই অবস্থান করছেন। মালালা শান্তিতে নোবেলসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছেন।
চিকিৎসা শেষে সেরে ওঠার পর তিনি বিশ্বের সব শিশুদের শিক্ষার অধিকার আদায়ের প্রতীকে পরিণত হন। বালক বা বালিকা সবার শিক্ষা নিশ্চিত করার আন্দোলনের বৈশ্বিক রাষ্ট্রদূত হয়ে ওঠেন। “সবার জন্য শিক্ষা”, বিশ্বব্যাপী এই বার্তা ছড়িয়ে দেয়া ১৬ বছরের মালালা এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে অন্যতম প্রধান আলোচিত।
আগামী শুক্রবার ওই পুরস্কারের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। যার সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে মালালার নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু এসব উড়িয়ে দিয়ে মালালাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর মুখপাত্র শহিদুল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন, মালালাকে খুন করার চেষ্টা আবার করবেন তারা। “সে একজন সাহসী নারী না। তার কোনো সাহস নাই। সুযোগ পেলেই আমরা আবার তার ওপর হামলা চালাবো,” বলেন তিনি। “স্কুলে যাওয়ার জন্য আমরা মালালার ওপর হামলা করিনি, তালেবান ও ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তার ওপর হামলা করা হয়েছিল,” বলেন শহিদুল্লাহ।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘেও মালালা বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সেখানে তিনি শিক্ষাসহ বঞ্ছিত নারীদের পক্ষে কথা বলেন। এমন পরিস্থিতিতে তার ওপর হামলার ১ম বর্ষপূর্তিতে এই হুমকি এলো।