দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহ পেরিয়েছে সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ছবি ‘বরবাদ’ সিনেমার। ইতিমধ্যেই ৭ দিনে ছবিটি সারাদেশে কতো টাকার টিকেট বিক্রি (গ্রস কালেকশন) হয়েছে সেই তথ্য দিয়েছেন বরবাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন।

মুক্তির নবম দিনে অর্থাৎ (মঙ্গলবার সন্ধ্যা)-তে রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন যে, তারা ‘বরবাদ’র মাধ্যমে ২৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার গ্রস কালেকশন (কর, কমিশন ও অন্যান্য খরচ বাদ দেওয়ার আগের আয়) পেয়েছেন।
২০২৩ সালের ঈদুল আযহায় শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ একমাসে ২৭ কোটি টাকার টিকেট বিক্রির খবর প্রকাশ করেন। অথচ মাত্র ৭ দিনেই ‘বরবাদ’ সেই সাফল্যে পৌঁছে গেছে। ঈদুল ফিতরে মুক্তির পর নবম দিনেও সিনেপ্লেক্স এবং মাল্টিপেক্স মিলিয়ে প্রায় ৬৫টি শো চলছে ‘বরবাদ’-এর।
মাল্টিপ্লেক্সের বাইরে দেশের ১১২টি সিঙ্গেল স্ক্রিনে দেদারসে ব্যবসা করছে এই সিনেমাটি। হল মালিকরা বলেছেন, হয়তো আগামী কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ব্যবসা টানতে পারে ‘বরবাদ’। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায় যে, এ মাসেই ‘বরবাদ’ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপেও মুক্তি পাবে।
মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ৬টি সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে ভালো চলছে ‘বরবাদ’। এমনকি হলিউডের সিনেমাগুলোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ও প্রতিদিনই হাউজফুল হচ্ছে।
মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’ সিনেমাতে শাকিব খানের বিপরিতে রয়েছেন নায়িকা ইধিকা পাল। আরও আছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত ও শ্যাম ভট্টাচার্য প্রমুখ। এছাড়াও আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org