দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৈশাখের সেই বিখ্যাত গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো….মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ আজ সেই দিন অর্থাৎ ১ লা বৈশাখ। ১৪৩১ বঙ্গাব্দর বিদায় এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর আগমণ।
চৈত্রের রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তির মাধ্যমে আজ (সোমবার) ১৪৩১ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ যুক্ত হলো নতুন আরও একটি বছর। আজ পহেলা বৈশাখ। আজকের সূর্যের নতুন আলোর সঙ্গে এলো ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।
বাঙালির জীবনে আরও একবার এলো পহেলা বৈশাখ। প্রতিবারের মতো এবারও বৈশাখ বরণে মেতে ওঠেছে পুরো বাঙালি জাতি। ভোরে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার মধ্যদিয়ে বাঙালিদের বাংলা নববর্ষ বরণের কর্মসূচি শুরু হয়।
পয়লা বৈশাখ উদযাপন ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনাসমূহ
আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের লক্ষ্যে রাজধানীতে ইতিমধ্যেই ট্রাফিক মেনে চলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত শনিবার (১২ মার্চ) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ডাইভারশন/ব্যারিকেড পয়েন্টসমূহ : ১৪ এপ্রিল (সোমবার) ভোর ৫টা হতে রমনা পার্ক (রমনা বটমূল), সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও আশপাশের নিম্নলিখিত এলাকাসমূহে সড়কে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে।
১. বাংলামোটর ক্রসিং/ নেভি গ্যাপ ২. পুলিশ ভবন ক্রসিং ৩. সুগন্ধা ক্রসিং ৪. কাকরাইল চার্চ ক্রসিং ৫. কদম ফোয়ারা ক্রসিং ৬. হাইকোর্ট ক্রসিং (পূর্ব ও দক্ষিণ) ৭. দো’য়েল চত্বর ক্রসিং ৮. রোমানা ক্রসিং ৯. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ১০. জগন্নাথ হল ক্রসিং ১১. ভাস্কর্য ক্রসিং ১২. নীলক্ষেত ক্রসিং এবং ১৩. কাঁটাবন ক্রসিং।
গাড়ি চলাচলের দিকনির্দেশনা:
রমনা পার্ক, (রমনা বটমূল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ ব্যতীত নিম্নলিখিত রাস্তাসমূহে যানবাহন চলাচল করবে। যানবাহন চলাচলের রাস্তাসমূহ নিম্নরূপ:
১. মিরপুর-ফার্মগেট হতে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলা মোটর ক্রসিং বামে মোড় নিয়ে মগবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
২. গোলাপ শাহ মাজার ক্রসিং-হাইকোর্ট ক্রসিং হতে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদম ফোয়ারা ক্রসিং-ইউবিএল ক্রসিং- নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
৩. সায়েন্সল্যাব ক্রসিং হতে শাহবাগ যাত্রীবাহী যানবাহন মিরপুর রোড দিয়ে আজিমপুর ক্রসিং হয়ে চাঁনখারপুল ক্রসিং-বকশীবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
গাড়ি পার্কিং স্থানসমূহ:
১. নেভি গ্যাপ হতে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত।
২. মৎস্য ভবন ক্রসিং হতে সেগুনবাগিচা পর্যন্ত (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িসমূহ।।
৩. শিল্পকলা একাডেমি গলি (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িসমূহ।)
৪. কাঁটাবন ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে পলাশী ক্রসিং পর্যন্ত।
৫. দোয়েল চত্বর ক্রসিং হতে শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত।
বাঙালিদের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ নির্বিঘ্নে এবং আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দি ঢাকা টাইমস্ এর পাঠক-পাঠিকা, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন- শুভ নববর্ষ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org