দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের রাস্তায় এখন দেখা মিলবে নিরবচ্ছিন্ন ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা, অসামান্য পারফরম্যান্স, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং অত্যাধুনিক ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি বিওয়াইডি সিলায়ন ৬।

ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বিওয়াইডি ফ্ল্যাগশিপ শোরুম ও বিওয়াইডি সার্ভিস সেন্টারে এই ডিএম-আই সুপার প্লাগ-ইন হাইব্রিড এসইউভি’র ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু হয়।
এই সময়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিজি রানার বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান এবং বিওয়াইডি’র সাউথ এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব সেলস ঝাং জি। তারা নতুন ক্রেতাদের অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি (ইলেকট্রিক ভেহিকল – ইভি) খাতের প্রতি বিওয়াইডি’র প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে উন্মোচিত হওয়া বিওয়াইডি সিলায়ন ৬ এর উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, উন্নত ডিজাইন ও অতুলনীয় পারফরম্যান্সের জন্য ক্রেতাদের কাছ থেকে অনন্য সাড়া পায়। আয়োজনে আধুনিক ও দুর্দান্ত এ গাড়িটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া দেখতে ব্যবসায়িক অংশীদার, উৎসাহী ক্রেতা ও বিওয়াইডি’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিওয়াইডি সিলায়ন ৬-এ থাকা শক্তিশালী ফ্রন্ট গ্রিল, শার্প লাইন এবং হেডলাইট ও টেইললাইটে থাকা এলইডি গাড়িটির নান্দনিকতাকেই ফুটিয়ে তুলেছে। গাড়িটির সর্বাধুনিক ডিএম-আই প্লাগ-ইন হাইব্রিড প্রযুক্তি ও যুগান্তকারী ব্লেড ব্যাটারির অনন্য সমন্বয়, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার ধারণার পাশাপাশি, হাইব্রিড এসইউভি’র অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। সম্পূর্ণ ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও পূর্ণ চার্জড ব্যাটারি নিয়ে সিলায়ন ৬ অনায়াসেই ১,১০০ কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম করতে পারে। গাড়িটিতে অনবদ্য জিয়াওয়ুন ১.৫ লিটার হাই-এফিসিয়েন্সি ইঞ্জিনের পাশাপাশি, সমুদ্র থেকে উদ্দীপ্ত নান্দনিক ডিজাইন ধারণা ব্যবহার করা হয়েছে। হাইব্রিড এই এসইউভি সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোওয়াট পাওয়ার ও ৩০০ এনএম (নিউটন-মিটারস) টর্ক প্রদান করতে সক্ষম যা মাত্র ৮.৫ সেকেন্ডে ০-১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতি অর্জন করতে পারে।

অনবদ্য এই গাড়িটি সম্পর্কে বিওয়াইডি বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইমতিয়াজ নওশের বলেন, “গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতেই বিওয়াইডি সিলায়ন ৬ তৈরি করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে উন্মোচনের পর থেকে ক্রেতাদের অসাধারণ সাড়া পেয়ে আমরা সত্যি আনন্দিত ও অভিভূত। এ-তো কেবল শুরু! আমরা দেশের জন্য একটি স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন গাড়ি (অটোমোটিভ) শিল্পখাত গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।”
হারবার গ্রে, আর্কটিক হোয়াইট, ডেলান ব্ল্যাক ও স্টোন গ্রে – এই চারটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে বিওয়াইডি সিলায়ন ৬। এতে প্যানোরামিক সানরুফ, ইনফিনিটি ১০-স্পিকার প্রিমিয়াম অডিও ও ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট রয়েছে। গাড়ি চালানোয় স্বাচ্ছন্দ্য আনতে এই হাইব্রিড এসইউভিতে কার্যকারিতা বাড়াবে এমন রিজেনেরেটিভ ব্রেকিং সহ ইকো, নরমাল এবং স্পোর্ট মোড রয়েছে। এতে ১৫.৬ ইঞ্চি রোটেটিং টাচস্ক্রিন, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, পিএম২.৫ ফিল্ট্রেশন সহ ডুয়েল-জোন এসি, এডিএএস (অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিসটেন্স সিস্টেমস), ৩৬০ ডিগ্রি এইচডি ক্যামেরা, ছয়টি এয়ারব্যাগ ও একটি হাই এনইডিসি রেটিং রয়েছে। গাড়িটি অ্যাপল কার-প্লে (ওয়্যার্ড), অ্যান্ড্রয়েড অটো (ওয়্যারলেস), একাধিক ইউএসবি পোর্ট ও ওয়্যারলেস ফোন চার্জারের সাথে সহজে সংযুক্ত হতে পারে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org