দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত শরীরে আরও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো দেখলে বোঝা যায়, কেও আদৌ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না। কিংবা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন?

ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না, সহজেই তা বোঝাও যায় না। শরীরে চুপিসারে কখন যে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে, তা ধরাও কঠিন। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ধরা না পড়লে কিংবা সঠিক চিকিৎসা না করলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে। সেইসঙ্গে অস্বাভাবিক হারে চুলও ঝরতে পারে। তাছা়ড়াও শরীরে আরও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো দেখলে বোঝা যায়, কেও আদৌ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি-না।
কোন লক্ষণগুলো ঘন ঘন দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে?
ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
আমরা জানি বেশি পানি খেলে বারে বারে শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে ইদানীং কী পানি না খেলেও ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসছে? এমনকী মাঝ রাতে প্রস্রাবের বেগের চোটে ঘুমই ভেঙে যাচ্ছে? এই সমস্যা যদি দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে ডায়াবেটিসের সমস্যাও রয়েছে।
অত্যাধিক তৃষ্ণা
গরমে বেশি পানি তেষ্টা পাওয়া কিন্তু স্বাভাবিক। তবে বিনা পরিশ্রমেও যদি পানি খেতে ইচ্ছা করে বা এসির ঘরে বসেও যদি তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, তাহলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার ইঙ্গিতও হতে পারে।
অতিরিক্ত ক্লান্তি
বার বার প্রস্রাবের কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা ও বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে গেলে ক্লান্ত লাগাও স্বাভাবিক। তবে ডায়াবেটিস হলে প্রস্রাবের বেগও বাড়ে। দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। এছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে এমনিতেই দুর্বল হয়ে যায় শরীর।
বারে বারে খিদে পাওয়া
পরিমিত পরিমাণে পেট ভরে খাবার খেয়েও কী তাহলে খিদে মিটছে না? সারাক্ষণই কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছা করছেই? তাহলে হয়তো রক্তে শর্করার মাত্রা বেশিও হয়েছে। কারণ শর্করা বাড়লেই সারাক্ষণ খিদে পেতে থাকে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org