দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের সঙ্গে একটি কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইনোভেটিভ ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক।

বাংলাদেশের বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজকে ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়নের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অংশীদারিত্ব করেছে বাংলালিংক। এই চুক্তির আওতায়, কর্পোরেট সংযোগ, যানবাহন ট্র্যাকিং সিস্টেম ও আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক সমাধানসহ বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করবে বাংলালিংক, যা আইসিসিকে এর কর্মক্ষমতা বাড়াতে, গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে। এই অংশীদারিত্ব উদ্ভাবনী ডিজিটাল সমাধান প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বাংলালিংকের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত টাইগার্স ডেনে (বাংলালিংক প্রধান কার্যালয়) চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। বাংলালিংকের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ. তানজিন ও আইসিসি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলালিংকের পক্ষ হতে, এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান; কি সেগমেন্টের হেড সাদ মো. ফয়জুল করিম; এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের কি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার রাফিয়া নাইমা; এবং আইসিসি কমিউনিকেশনসের পক্ষ থেকে এর গ্রুপ সিওও লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসাইন (অব:); প্ল্যানিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জিএম এ. কে. এম শাহেদ রেজা; এবং প্রতিষ্ঠানের সিআইও আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলালিংকের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ. তানজিন বলেন, “সেরা ডিজিটাল সমাধান প্রদান করার মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলালিংক। ইনোভেটিভ ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমরা বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজের জন্য অপারেশনাল দক্ষতা, উন্নত কানেক্টিভিটি সুবিধা ও ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইসিসি কমিউনিকেশনের সাথে চুক্তি এই খাতের অংশীদারদের জন্য উদ্ভাবনী এবং কার্যকর পরিষেবা প্রদানের সক্ষমতার প্রতিফলন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানকে উপকৃত করবে ও নিজেদেরকে আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
আইসিসি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন, “বাংলালিংকের সাথে এই অংশীদারিত্ব ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও আইএসপি প্রোভাইডারদের মাঝে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরির পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
এটি আমাদের গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। বাংলালিংকের উচ্চমানের মোবাইল কানেক্টিভিটি সেবা ও বিশেষায়িত এন্টারপ্রাইজ সমাধানগুলো আমাদের পরিষেবার মানোন্নয়ন ও ক্লায়েন্টদের জন্য আরও দক্ষ অপারেশনাল রেসপন্স সিস্টেম তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী আমরা।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org