দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছিপছিপে চেহারার রহস্য ডায়েট এবং এক্সারসাইজ়, এ কথা কারও অজানা নয়। তাতে ফিট থাকা, হাসিখুশি থাকা ও সুন্দর থাকা। তবে এইসব ছিপছিপে ব্যক্তিদের দিন শুরু হয় কী খেয়ে জানেন? জানলে আপনিও অবাক হবেন! উত্তর ঘি খেয়ে।

যেখানে গোটা দুনিয়া খাদ্যতালিকা থেকে ফ্যাট কমাচ্ছেন, সেখানে ফিট থাকতে অনেকেই খান ঘি। এমন কথা জানিয়েছেন অনেকেই। যারা এই ধরনের ডায়েটে অভ্যস্ত তারা দিনের শুরুতেই খান ঘি। কারণ আয়ুর্বেদে শাস্ত্রে ঘি খাওয়ার উপকারিতা উল্লেখ রয়েছে। ঘি হজমে যেমন সহায়তা করে, তেমনি ত্বকে পুষ্টি জোগায়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও উন্নত করে।
অনেকের মতেই, ঘি খেলে ওজন আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ঘি’র মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। তা সত্ত্বেও ঘি বেশ পুষ্টিকর। এক চামচ খাঁটি ঘি খেলে ও সঠিক ডায়েট এবং এক্সারসাইজ় করলে ওজন বৃদ্ধির কোনও রকম ভয় নেই।
ডায়জেস্টিভ সিস্টেম এবং মেটাবলিজ়মের জন্যও উপকারী ঘি। এক চামচ ঘি পাচক এনজ়াইম ও গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের নিঃসরণকে আরও বাড়িয়ে দেয়, যা দ্রুত পুষ্টি শুষে নিতেও সাহায্য করে। ঘি’তে বিউটিরিক অ্যাসিড থাকে, যা মলকে নরম করে ও বাওয়েল মুভমেন্টেও সহায়তা করে। অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ঘিয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও রয়েছে। এতে অন্ত্রের প্রদাহ কমে ও ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বজায় থাকে। এ ছাড়াও ফ্যাটের উৎস হিসাবে ঘি খেলে সারাদিন কাজ করার এনার্জিও পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার পাশাপাশি ফলের রস এবং লিক্যুইড খাবার বেশি করে খাখেতে হবে। এ ছাড়াও নিয়মিত যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org