দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণভাবে সম্পর্কের প্রথম দিকে ভালোবাসা চিরন্তন বলেই মনে হয়। প্রেমের পথে কোথাও যেনো কাঁটা চোখে পড়ে না। মনে হয় পৃথিবী ওলট-পালট হয়ে গেলেও, প্রেমে কোনো চিড় ধরবে না।

তবে একটি কথা হলো প্রেম নিঃশব্দে এলেও, ভালোবাসা নিভে যাওয়ার সময় কিন্তু ঝড় ওঠে। অনেক সময় আগে থেকেই সম্পর্কের বিচ্ছেদের পূর্বাভাসও পাওয়া যায়। প্রেম প্রেম আচমকা মনের ঘরে প্রবেশ করলেও, ভাঙন হয় ধীরে ধীরে। অভিযোগ ও অভিমানের পাহাড় এমনভাবে মাঝে এসে দাঁড়ায় যে, সেই পাহাড় সহজেই ডিঙানো যায় না। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া ভালো। কোন লক্ষণগুলো বলে দিতে পারে আপনার সম্পর্ক ভাঙনের পথে?
বন্ধুত্ব নষ্ট
সম্পর্কের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকাটা জরুরি। আর বন্ধুত্ব সম্পর্ক ধরে রাখে। সেই বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেলে কোনও সম্পর্কই তখন আর দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যদি দেখেন যে, সম্পর্কের বন্ধুত্ব অবশিষ্ট নেই, তাহলে প্রেমের মেয়াদ যে ফুরোনোর পথে এসেছে, সেটি কিন্তু আর বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। সম্পর্কের কমফোর্ট জোন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানেই, ধরে নিতে হবে যে, আসলেও শেষের শুরু।
কথা না শোনা
অনেক সময় মনে প্রচুর কথা জমে থাকে। সেটি সঙ্গীকে নিয়ে মান-অভিমানও হতে পারে বা অভিযোগও। সঙ্গীর মনের কথা শোনার সময় যদি উল্টোদিকের মানুষটা না থাকে, তাহলে সম্পর্ক না রাখাই শ্রেয় হবে। সঙ্গী যদি প্রয়োজনে পাশে না-ই থাকে, তার থেকে যদি কোনও মেন্টাল সাপোর্টও না পাওয়া যায়, তাহলে বেশ মুশকিল। এমন কিছু হলে সাবধান হতে হবে।
সম্মানহীনতা
সম্পর্কের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান থাকাটা ভীষণ জরুরি। একে-অন্যের প্রতি সম্মান না থাকলে ভালোবাসা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে। সম্পর্কের খুনসুটি, বন্ধুত্ব, ঝগড়াঝাটি থাকবে সেটি স্বাভাবিক, তবে দিনের শেষে পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকাটা জরুরি। তা নাহলে ভুল বোঝাবুঝিও বাড়বে। মজার ছলে কটু কথা, অশ্রাব্য ইয়ার্কি দিনের পর দিন চলতে থাকলে, সেই সম্পর্ক ভেঙে ফেলায় সবচেয়ে ভালো কাজ হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org