দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখন টিভির সঙ্গেই আছেন। গত ৩ দিন ধরেই টিভি চ্যানেলগুলোতে চলছে ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান।
ঈদের কারণে দেশের বেশির ভাগ চ্যানেল ৭ দিন ধরেই শুরু হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বাংলা সিনেমা, টেলিফিল্ম, নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠানসহ নানা ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
বিটিভি, চ্যানেল আই, এনটিভি, এটিএন বাংলা, আরটিভি, বাংলাভিশন, চ্যানেল নাইন, মাছরাঙা, বৈশাখীসহ দেশের প্রায় সবগুলো টিভি চ্যানেলগুলোতে ঈদ উপলক্ষে প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। এসব চ্যানেলে দেশের খ্যাতনামা লেখকদের লেখা নাটক, টেলিফিল্মসহ অন্যান্য ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দর্শকদের ঈদের ছুটির সময় কাটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করছে। ঈদের পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদের বিনোদন অনুষ্ঠান এদেশের মানুষকে মাতিয়ে তুলেছেন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কিছু অনুষ্ঠানে মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দর্শকদের অবশ্য বিরক্তির কারণ হচ্ছে। তবুও ঈদের ছুটিতে বিনোদনের এই বহর আমাদের জন্য কম নয়। দেশের ইতিহাস, কৃষ্টি-কালচার, ধর্মীয় মূল্যবোধ সব কিছুই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ঈদের এইসব বিশেষ অনুষ্ঠানসূচিতে।
ঈদের আনন্দের মূল বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়েছে টিভি চ্যানেলগুলোর এবারের ঈদের অনুষ্ঠান। সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে আলাপ করে মনে হয়েছে, ঈদের বিনোদন অনুষ্ঠানের মান ও অন্যান্য বিষয়গুলো দর্শকদের মন কেড়েছে- তবে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচার অনেক সময়ই বিরক্তির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। যে কারণে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে একই সময় একাধিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ঢুকে গেছেন দর্শকরা।
আমরাও জানি বিজ্ঞাপনই একটি প্রচার মধ্যমের চালিকা শক্তি। তবে সেটির একটি সীমারেখা থাকা দরকার।
বাঙালির ঐতিহ্য ও কৃষ্টি কালচার বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রকাশের যে জোয়ার এসেছে তা ধরে রাখতে হলে এদেশের অগুন্তি টিভি চ্যানেলগুলোকে আরও সচেতন হবে। দর্শক-শোতাদের চাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোকে। সংশ্লিষ্টরা এমনটাই আশা করছেন।